লিটন দাস বিশ্বমানের। লিটন অবিশ্বাস্য বিশ্বকাপ থেকে নাকি মাত্র এক ইনিংস দূরে। এমনটাই বিশ্বাস অ্যাসিসটেন্ট কোচ নিক পোথাসের। কিন্তু লিটনের ফিরে আসার নিবেদন প্রশ্নবিদ্ধ। জিম্বাবুয়ের মত দলের বিপক্ষে টাইগাররা বিশ্বকাপের আগে কেনো এতটা রক্ষণাত্মক, নিক পোথাস সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
চট্টগ্রামে মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। বৃষ্টির ফোটা আর পরিশ্রমের ঘাম, সৌম্যর গায়ে দুটোই মিলে মিশে একাকার। ট্রেনার নাথান কেইলি যেনো কমান্ডার। সৌম্য সেই কমান্ডো ট্রেনিংয়ের সোলজার, কঠিন অনুশীলনে মচকালেও ভেঙে পড়া যাবে না।
সৌম্য কখনো লুটিয়ে পড়ছেন, কখনো ট্রেনার নিজেই তার মাথায় পানি ঢালছেন। কখনো হাঁপিয়ে উঠে থেমে যাচ্ছেন। কিন্তু উঠে দাঁড়াতেই হবে, লড়াইটা ফেরার।
বাংলাদেশ দলের অ্যাসিসটেন্ট কোচ নিক পোথাস বলেন, আমার মনে হয় এটা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি। সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। অবিশ্বাস্য বিশ্বকাপ থেকে সে মাত্র এক ইনিংস দূরে আছে। কোন সন্দেহ নেই লিটন দাস অনেক রান করবে।
নিক পোথাস বলছেন, লিটন অবিশ্বাস্য বিশ্বকাপ থেকে নাকি এক ইনিংস দূরে। কিন্তু সেই সোনার হরিণ ইনিংসটা খুঁজতে নিজেকে লিটন কি সৌম্যর মত করে প্রস্তুত করতে পারছে? কঠিন ট্রেনিং শেষ করে হাসিমুখে সৌম্য ফিরে গেছেন ফিরে আসার জন্য। পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না… কখনো কখনো ভাগ্যটাই যে ঘুরিয়ে দেয় প্রবল চেষ্টা।
বিশ্রামের দিনে একাদশের বাইরে থাকা ৫ ক্রিকেটার এসেছিলেন মাঠে, সে সময় হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেও ছিলেন সাথে। দুই নির্বাচক হান্নান সরকার আর-আব্দুর রাজ্জাকও ঐচ্ছিক অনুশীলন দেখতে। টাইগাররা দুইটা ম্যাচ জিতলেও মন জিততে পারেনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেনো টস জিতে ফিল্ডিং? মনে হচ্ছে পুরো দল ডিফেন্সিভ।
নিক পোথাসের ভাষায়, আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে সিরিজ জয়। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আপনি চাইলেন আর আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলাম, এরপর কিছু ভুল হলে আপনারাই আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সমালোচনা করবেন।
তার মানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারার ভয় থেকেই টাইগাররা এতটা সাবধানী? অথচ সিরিজটা হবার কথা ছিলো বিশ্বকাপ প্রস্তুতির। সেই গর্জনটাও শোনা যাচ্ছিলো খুব বেশি, কিন্তু ‘যত গর্জেছে তত বর্ষে নি’।
তবে, সাগরিকার আকাশে গর্জেনের মত বর্ষণ চলছেই। টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে চট্টগ্রামের ঝড়ো বৃষ্টি। এভাবেই নাকি আকাশ ভেঙে বর্ষণ চলবে আগামী ১০ দিন।