অবশেষে জানা গেলো কবে আসছে বহুল প্রতীক্ষার- অ্যাপল ভিশন প্রো হেডসেট, যা কাজ করবে আপনার চোখের ইশারায়। স্ক্রিন সরাতে লাগবে না কোন স্পর্শ। তবে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিপ্রেমীদের নজর কেড়ে নেয়া দারুণ এই ডিভাইসটি কিনতে আপনাকে দিতে হবে প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান মুদ্রা।
হেডসেটের কথা বললেই সবার আগে আপনার মাথায় কি আসে? এটি দিয়ে শোনা যাবে গান, বলা যাবে কথা, বড় জোর- কোন কোনটিতে থাকবে না কোন তার। হেডসেট জগতকে চমক দিতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অ্যাপল নিয়ে আসছে নতুন হেডসেট ভিশন প্রো।
মসৃণ এবং লাইটওয়েট ডিজাইনই এই হেডসেটের সবচেয়ে বড় ফিচার। চশমার মতো, তবে এই ডিভাইসটি পরতে হবে মাথায় পরা একটি ব্যান্ডের মাধ্যমে যাতে করে এটি আপনার মুখমণ্ডলের সঙ্গে আটকে থাকে। যদিও এটিকে ভিআর হেডসেট বলতে অ্যাপলের আপত্তি আছে।
এমন হেডসেট তো স্যামসংসহ আরও অনেকের আছে। তাহলে অ্যাপল ভিশন প্রো হেডসেট আলাদা কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই অ্যাপল তাদের হেডসেটের ভেতরে এবং বাইরে সেন্সরসহ ক্যামেরা রেখেছে। যা চোখের মুভমেন্ট বুঝে কাজ করার পাশাপাশি কাজ করবে পরিবেশ বুঝেও।
আসলে মেটার ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের মৌলিক ধারণার ওপর ভিত্তি করেই অ্যাপল তাদের ভিশন প্রো ডিভাইসটি তৈরি করেছে। যা ভবিষ্যতমুখী প্রযুক্তি হিসাবে কার্যকর হবে বলে মনে করছেন টেক বিশেষজ্ঞরা। বৈশ্বিক মহামারির অভিজ্ঞতায় শিল্পের চাকা সচল রাখার হাতিয়ারও হবে এই হেডসেট।
অ্যাপেল ভিশন প্রো হেডসেটের ওজনও কম। অনেকক্ষণ পরে থাকা যাবে। হাই-রেজোলিউশন ডিসপ্লে রয়েছে। এখনকার বেশিরভাগ হেডসেটের তুলনায় এর রেজোলিউশন অনেকটাই ভাল। ডুয়াল-ডিসপ্লে সিস্টেমের মাধ্যমে একেবারে যেন সত্যিকারের মিক্সড রিয়েলিটির জগতে প্রবেশ করে যাবেন।
অ্যাপেলের কাস্টম-ডিজাইনড বিশেষ চিপ দ্বারা এটি চালিত। শক্তিশালী প্রসেসরের মাধ্যমে জটিল ভার্চুয়াল রেন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে যাতে কোনও ল্যাগ না হয়, তা নিশ্চিত করেছে অ্যাপেল। সেই সঙ্গে ফাইভ-জি কানেক্টিভিটি পাবেন। ফলে সহজেই ক্লাউড-ভিত্তিক পরিষেবার অ্যাক্সেস পেয়ে যাবেন।
এবার আপনি বলবেন দাম কতো? আপতত জানা গেছে, অ্যাপলের এই ডিভাইসটি কিনতে হলে আপনাকে গুণতে হবে প্রায় চার লাখ টাকা। আমেরিকার বাজারে দাম ধরা হয়েছে ৩,৪৯৯ মার্কিন ডলার থেকে।