পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে চিরায়ত ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধ কেন্দ্রিক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক সদরদপ্তর ‘নবান্ন’ ভবনে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই কথা বলেন তিনি।
বৈঠকের শুরুতেই বাংলাদেশের হাই-কমিশনার উপহার হিসেবে মমতা ব্যানার্জীকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিষ্টি ও শাড়ি দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) আসরাফুর রহমান শিকদার এবং পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজপন্থ।
মমতা ব্যানার্জী দিল্লি হাইকমিশনারে মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জানান।
তবে সাক্ষাতে কী কী নিয়ে আলোচনা হলো তা নিয়ে মুখ খোলে নাই বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মমতাও।
এর আগে সকালে হামিদুল্লাহ কলকাতার বাংলাদেশ মিশনে। সেখানেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক করেন। সেখান থেকে যান নবান্নে।
তিন দিনের সফরে রোববার কলকাতায় এসেছেন হাইকমিশনার। বুধবার সকালেই ফিরে যাবেন দিল্লিতে।
বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (২৪ জুন) তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জহর সরকারের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন তিনি।
এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অত্যন্ত উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।
সাক্ষাৎকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক ও দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের এ সাক্ষাৎ ছিল দেশটির কোনো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ।
এর আগে গত ২৯ মে হাইকমিশনার ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
সাক্ষাৎকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধভিত্তিক যে গভীর বন্ধন রয়েছে, তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের গণ্ডি অতিক্রম করে।
তিনি আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের সাথে অব্যাহত সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।