মেট্রোরেল! সবচেয়ে আধুনিক আর দ্রুতগতির গণপরিবহন ব্যবস্থা। শুধু গতিই নয়, মেট্রোরেলই একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রী নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে। এজন্য উন্নত বিশ্বে যাত্রী পরিবহনে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে মেট্রোরেল। এই আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থায় প্রবেশ করেছে বাংলাদেশাও।
গেলো ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করে রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থা। প্রথমে চালু হয়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল। আর শনিবার সেই মেট্রোরেলে আগারগাঁও পেরিয়ে বিস্তৃত হয়েছে বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ব্যস্ততম মতিঝিল এলাকা পর্যন্ত। এতে এই পরিবহনে যাত্রী চলাচল আরও বাড়বে।
ধীরে ধীরে নগরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মেট্রোরেল। সেইসঙ্গে সর্বাধুনিক এইউ পরিবহন ব্যবস্থার প্রতি অভ্যস্ত নগরীর বাসিন্দারা। মেট্রোরেলে চলাচলের পুরো প্রক্রিয়াটিই দারুণ নিয়মের মধ্যে বাধা। টিকেট ছাড়া এ পরিবহনে ওঠা যায় না। সেই সঙ্গে আছে ওঠা-নামার নির্দিষ্ট নিয়ম ও নির্দেশিকা।
মেট্রোরেলের প্রতিটা স্টেশনে এই দুই ধরনের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কর্মীদের কাছ থেকে এবং টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে এটি কাটা যাবে। টিকিট বিক্রির মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে প্রথমে মনিটরে বাংলা অথবা ইংরেজি অপশন নির্বাচন করতে হবে।
সিঙ্গেল ও পারমানেন্ট জার্নির জন্য টিকিট নির্বাচন করতে হবে। এরপর আসবে গন্তব্যের তালিকা। কোন স্টেশনের কত ভাড়া সেই তালিকা দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে যাত্রীকে তার গন্তব্যের স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর কতটি টিকিট কাটবেন সেই অপশন আসবে।
সিঙ্গেল জার্নির জন্য একজন যাত্রী একবারের যাত্রায় পাঁচটির বেশি টিকিট কাটতে পারবেন না। এরপর ওকে বাটনে চাপ দিলেই মেশিন টাকা চাইবে। টাকা দিলেই টিকিট বেরিয়ে আসবে। মেশিনে সর্বনিম্ন ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা প্রবেশ করানো যাবে।