ব্যবসায়ীকে আটক করে ২০টি সোনার বার লুট করার অভিযোগে ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শকসহ ছয় কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাদেরকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খানের আদালতে তোলা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত প্রধান আসামি ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামকে চারদিন ও বাকি আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী।
গ্রেপ্তারকৃত ছয় কর্মকর্তা হলেন- ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম, তিন জন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন, নুরুল হক ও মিজানুর রহমান এবং দুই জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও মাসুদ রানা।
জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের হাজারী গলির স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস গত রোববার বিকেলে ২০টি সোনার বার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস এলাকায় পৌঁছলে ডিবি পুলিশ গাড়ি থামিয়ে তাকে আটক করে এবং সোনার বারগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা যান চলাচল বন্ধ
পরবর্তীতে এ ঘটনায় সোমবার ফেনী সদর মডেল থানায় ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ডিবির ওই ছয় কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেনীর পুলিশ সুপার নূরুন্নবী জানান, ঘটনার তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় অভিযোগকারী চারজনকে শনাক্ত করে। এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপর দুইজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস জানান, ২০টি সোনার বারের বাজারমূল্য ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
একাত্তর/আরএইচ