লক্ষ্মীপুরে সড়কে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় সিএনজি চালকদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাগবাড়ি এলাকার মেঘনা সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সবুজ মিয়া, ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল ঝুটন ভট্টাচার্য, টারজান বড়ুয়া। এদিকে এ ঘটনায় একজন সিএনজি চালকও আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন সিএনজিসহ সড়কে বিভিন্ন পরিবহনের বিরুদ্ধে বুধবার সকাল থেকে শহরের বাগবাড়ি এলাকার মেঘনা সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এসময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কয়েকটি সিএনজি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনার জেরে সিএনজি চালকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সবুজ মিয়া, ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল ঝুটন ভট্টাচার্য, টারজান বড়ুয়া আহত হন। পরে সিএনজি চালকরা লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে এক ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিএনজি অটোরিকশাচালকদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সড়কে চলাচলের জন্য তাদের মাসোহারা দিতে হয়। অভিযানের নামে ট্রাফিক পুলিশ তাদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ আদায় করে। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায়।
তারা আরও জানান, অভিযানের নামে সড়কে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় গাড়ি আটকে টাকা আদায় করা হয়। আজ কোনো অজুহাত ছাড়াই কয়েকটি সিএনজি আটক করে মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এর জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা চালান চালকরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কি কারণে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।