চলতি বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচন দাবি করে আসছিলো বিএনপিসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল। তবে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন, এপ্রিলে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, এপ্রিলে নির্বাচন দুরভিসন্ধিমূলক।
তিনি মনে করেন, জাতির স্বার্থে যতো দ্রুত একটি নির্বাচিত সরকার আসবে, ততোই মঙ্গল। এমনকি যদি আগামী জুলাইয়ে নির্বাচন হয় তাও দেশের জন্য মঙ্গল। ডিসেম্বর-এপ্রিল এতো দূরে যাওয়ার দরকার নেই।
শনিবার (৭ জুন) সকালে নিজ গ্রাম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম মির্জা নগর গ্রামের জামে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন তিনি। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনকে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ৯০ দিনের আগেই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করেছেন। কিন্তু তিনি প্রশ্ন করেন নাই, এই প্রশাসনের এরশাদের, নাকি অন্য কারো।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ। তিনি ১৯৯০ সালের ছয় ডিসেম্বর থেকে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি আবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন।
রাখাইনের জন্য করিডোরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রসঙ্গে বুলু বলেন, জাতিসংঘও সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার ভাষায় বলেছে, তারা করিডোর দেওয়ার কোনো কথা বলেননি।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগের এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে সব দেশে নির্বাচিত সরকার আছে তারাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে বিদেশি পাসপোর্টধারী একজনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও একমত হতে পারেনি।