প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে। তবে, ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, বাড়তি চাপ থাকলেও ভোগান্তি নেই।
সরেজমিনে দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, যাত্রী হয়রানি বন্ধে ঘাট এলাকায় কাজ করছে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যবস্থা।
ঢাকাগামী যাত্রী সোহেল রানা বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় ঘাটে যাত্রীদের ভোগান্তি নেই বললেই চলে। দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের মানুষের ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠে যেতে পারছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মিলন মিয়া বলেন, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ সামাল দিতে এই নৌরুটে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। কোনো লঞ্চে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা না হয় বা বাড়তি ভাড়া নেয়া না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা তদারকি করছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। নদীর দৌলতদিয়া প্রান্তে তিনটি ঘাট সচল আছে। ছুটি শেষ হওয়ায় যাত্রীর চাপও বেড়েছে। তবে কোনো ভোগান্তি ছাড়া যাত্রী সাধারণকে পার করানো সম্ভব হচ্ছে।