দেশে তীব্র গরমে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ তাপজনিত নানান রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে নবজাতক থেকে ৬ বছরের শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, অতি গরমে পানিবাহিত রোগ -ডায়রিয়া, জন্ডিস, হেপাটাইটিস এ ও ই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস শুরু হওয়ায় শঙ্কা আরো বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল জরুরি বিভাগে আগে যেখানে দৈনিক দেড়শ’ থেকে ২০০ রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসতো এখন তা বেড়েছে।
চলতি মে মাসের শুরু থেকেই সারাদেশে তীব্র গরমে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে জনজীবন। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে হিট স্ট্রোকসহ জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার রোগী। সব বয়সের মানুষ ভুগলেও এই গরম সবচেয়ে বেশি কাবু হচ্ছে শিশুরা।
ঢাকার সব হাসপাতালেই কম-বেশি এখন একই চিত্র। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে ঢাকার সব স্কুলকলেজ পুরোদমে খুলে যাবে। সেই সময়ে চলমান তীব্র তাপদাহে বিশেষ করে শিশুদের অভিভাবকরা বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ, ঘরের বাইরে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
তীব্র গরমে পানি বাহিত রোগ যেমন -ডায়রিয়া ও কলেরার নানা শ্রেণি জীবাণুর প্রকোপ বেড়ে যায়। পাশাপাশি জ্বর,সর্দি-কাশিতে আক্রান্তের হার বেড়ে যায়। তবে, আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন বৃষ্টি হলেও গরমের তীব্রতা কমবে না।
এখন খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, বাইরে বের হলে ছাতা, খাবার স্যালাইনসহ সাধারণ সুতি কাপড় পড়তে হবে।