চীনের হুমকি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানে পা রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে সেখানে যান তিনি।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ২৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাউজ স্পিকার তাইওয়ানে পা রাখলেন।
পেলোসির তাইওয়ান সফরের আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেছিল বেইজিং।
সোমবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছিলেন, যদি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান তবে তা হবে চীনের অভ্যন্তরীণ নীতিতে কুরুচিপূর্ণ হস্তক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগ ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। চীনের সামরিক বাহিনীও চুপ থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
যদিও এসব হুমকি উপেক্ষা করেই তাইওয়ানের তাইপে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ন্যান্সি পেলোসি।
বিবিসি বলছে, কড়া নিরাপত্তা থাকার পরও পেলোসি যে হোটেলে অবস্থান করছেন তার বাইরে বিক্ষোভ করেছেন চীনপন্থীরা।
অন্যদিকে পেলোসি তাইপে বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই চীনের বিমান বাহিনীর একটি দল তাইওয়ান প্রণালীর ওপর দিয়ে মহাড়া দিয়েছে। চীনের ২১টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে।
সবশেষ চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই তাইওয়ানের কাছে যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করবে দেশটি। তাইওয়ানের পূর্বে সমুদ্র অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালাবে চীন। চলবে লাইভ ফায়ারিং।
পেলোসির সফরকে ঘিরে ওই অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজও মোতায়েন করা হতে পারে বলেও খবর এসেছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
একাত্তর/আরবিএস