পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে আগামী পাঁচ বছর কোন দল বা জোট শাসন করবে, তা নিয়ে এরিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়। ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভারতীয় নাগরিকের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে এবারের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ তথা লোকসভা নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবারের নির্বাচন সাত ধাপে হবে, যেখানে ভারতীয়রা ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুনের মধ্যে ভোটে অংশ নেবেন এবং ৪ জুন ফলাফল ঘোষণা মধ্যে দিয়ে শেষ হবে প্রায় তিন মাস ধরে চলা ভোটের সবচেয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞের। ভারতের এই ১৮তম লোকসভা নির্বাচন ইতিহাস গড়তে চলেছে।
উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বের পাহাড় থেকে পশ্চিমে মরুভূমি, কংক্রিটের জঞ্জাল থেকে ক্ষুদ্রতম গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার তাদের রায়ে নির্বাচিত করবেন সংসদের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লোকসভার ৫৪৩ জন প্রতিনিধিকে। আর রাষ্ট্রপতির দেয়া দু’জন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৪৫টি। যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন, তাদের হাতেই গঠিত হবে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতের নির্বাচন বিশাল ও জটিল। এখানে সাতটি দিক রয়েছে যে কারণে এই নির্বাচন অন্য যে কোনো নির্বাচন থেকে আকারে ও আয়োজনে আন্য কোন দেশের নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।
সাত ধাপে চলবে নির্বাচন প্রক্রিয়া
১৬ মার্চ তফসিল ঘোষণার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেন দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ৪৭ দিন ধরে মোট সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবারের লোকসভা নির্বাচন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত। ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।
প্রথম দফায় (১৯ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, লক্ষদ্বীপ, আন্দামান নিকোবার, বিহার, সিকিম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অসম, অরুণাচল প্রদেশে ভোট হবে।
দ্বিতীয় দফায় (২৬ এপ্রিল) ভোট হবে কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তীশগড়, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, অসম, মণিপুর, ত্রিপুরায়।
তৃতীয় দফায় (৭ মে) জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, দাদরা-নগর হভেলী ও দমন-দিউ এবং চতুর্থ দফায় (১৩ মে) মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডে ভোট হবে।
পঞ্চম দফায় (২০ মে) লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্রে, ষষ্ঠ দফায় (২৫ মে) দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় এবং সপ্তম দফায় (১ জুন) হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় ভোট হবে।
এদিকে সিকিম, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ- এই চার রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনও হবে। পাশাপাশি, বিহার, গুজরাত, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতে উপনির্বাচন লোকসভার সঙ্গেই হবে এবং চার রাজ্যেই গণনা ৪ জুন বলে জানিয়েছেন ভারতের সিইসি।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময়। ১৯৮০’র দশকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময় ছিলো মাত্র চার দিন। এরপর থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময় বেড়ে চলেছে। ২০১৯ সালের নির্বাচন হয় ৩৯ দিন ধরে এবং এ বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ দিন।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন এই বিস্তৃত নির্বাচন কাঠামোগুলো ঠিক করেছে। প্রায় ১৪০ কোটির জনসংখ্যার একটি দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট দেখভালে প্রয়োজন ধীর স্থির গতি।
৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার
ভারতের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জুড়ে প্রায় ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার রয়েছে, যা ইউরোপের সব দেশের জনসংখ্যার থেকেও বেশি।
ভারতে পুরুষ ভোটার ৪৭ কোটি ৯০ লাখ এবং নারী ভোটার ৪৭ কোটি ১০ লাখ। যার মধ্যে ২০ কোটি ভোটার রয়েছে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ বছর এবং এক কোটি ৮০ লাখ বেশি ভোটার এবার প্রথম ভোট দিবে। ৮০ বা তার বেশি বয়সী প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ ভোটার রয়েছে এবং দুই লাখ ১৮ হাজার শতবর্ষী ভোটার এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) নির্দেশ অনুযায়ী, একটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৫০০ জন ভোটার থাকতে পারবে। এর ফলে এবারে ভারতে ১০ লাখ ৪৮ হাজার ২০২টি ভোটকেন্দ্রে হবে, যেখানে ৫৫ লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে। ২০১৯ সাল থেকে এ বছর ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা এক দশমিক ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রায় দেড় কোটি নির্বাচন ও নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করবে। এই নির্বাচন কর্মীরা পাহাড়ের চূড়া, মরুভূমি, শীতল হিমবাহ ও দুর্গম অঞ্চল পাড় দিয়ে নির্বাচনের উপকরণ পৌঁছে দিবে সাধারণ জনগণের কাছে।
১৪ দশমিক চার বিলিয়ন ডলারের নির্বাচন
ভারতের এই লোকসভা নির্বাচন বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন হতে চলেছে। ভারতীয় নির্বাচনের ব্যয় নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানের কর্তা ভাস্করা রাও জানান, ভোটারদের আকৃষ্ট করতে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে ব্যয় করতে পারেন এক লাখ ২০ হাজার কোটি রুপি বা ১৪ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার, যা অনেক দেশের বাজেটের থেকেও বেশি।
এবারের নির্বাচনী বাজেট ভারতের ২০১৯ সালের নির্বাচনে ব্যয় থেকে দ্বিগুণ হবে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ব্যয় হয়েছে ৬০ হাজার কোটি রুপি বা সাত দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। মজার বিষয় হলো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের প্রতিনিধি পরিষদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোট ব্যয়ও ১৪ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার ছিলো।
ভারতের নির্বাচনী ব্যয়ের অধিকাংশই তথ্যই প্রকাশ করা হয় না। নির্বাচন কমিশন থেকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য ব্যয়ের বাজেট নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তা প্রায়শই মানা হয় না। নগদ লেনদেন শনাক্ত করার ক্ষেত্রে নির্বাচনী যাচাই-বাছাই যন্ত্র খুব দুর্বল। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রার্থীরা হিসাবহীন অর্থ ব্যয় করছেন। মদ, কাপড় থেকে শুরু করে সরাসরি ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করে রাজনৈতিক দলগুলো।
১৫ হাজার ২৫৬ ফুট উঁচুতে ভোটকেন্দ্র
বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন প্রক্রিয়া তো জটিল হবে। ভারতের নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, প্রত্যেক ভোটারের দুই কিলোমিটার মধ্যে একটি ভোটিং বুথ থাকতে হবে। এর ফলে, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে নির্বাচন কর্মীরা চার দিন ধরে ৪৮০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ ও নদী উপত্যকা পাড়ি দিয়েছিলো মাত্র একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য।
চীনের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের একটি গ্রামে এই ভোট কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছিলো। মাত্র একজন ভোটার থাকা সত্ত্বেও তারা হিমালয়ের ১৫ হাজার ২৫৬ ফুট উঁচুতে এই ভোটকেন্দ্রটি নিয়ে যায়, যেন প্রতিটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
এবারও, নির্বাচন কর্মীরা সেই গ্রামে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করবে। তাছাড়াও, ভোট কেন্দ্রগুলি অন্যান্য প্রত্যন্ত স্থানে স্থাপন করা হবে। যার মধ্যে একটি দক্ষিণ কেরালা রাজ্যের একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ভেতরে হবে এবং আরেকটি পশ্চিম গুজরাট রাজ্যের একটি শিপিং কনটেইনারে।
কুমির ভরা ম্যানগ্রোভ জলাভূমি ও ঘন জঙ্গলের পাড়ি দিয়ে দেশের পূর্ব উপকূলের অদূরে, প্রত্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দিবে এই নির্বাচন কর্মীরা।
ওডিশার মালকানগিরি জেলায়, যেখানে মাওবাদী যোদ্ধাদের উপস্থিতি রয়েছে, তাদের থেকে ইভিএম মেশিন রক্ষা করতে অনেক জটিলতার শিকার হয় নির্বাচন কর্মীরা। ২০১৯ সালে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কর্মীরা ১৫ কিলোমিটার দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সেগুলো নিয়ে আসেন।
দুই হাজার ৬৬০ রাজনৈতিক দল
ভারতের মত বিশাল একটি গণতান্ত্রিক দেশে মোট দুই হাজার ৬৬০ রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে। তাহলে বুঝা যায় কতটা জটিল হয় তাদের এই নির্বাচন প্রক্রিয়া।
ভোটারদের সুবিধায় প্রতিটি নিবন্ধিত দলের একটি করে নিজস্ব প্রতীক রয়েছে। যেমন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতীক পদ্ম, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের হাত, আর অন্যান্য দলের হাতি থেকে শুরু করে বাইসাইকেল, চিরুনি বা তীর নানাবিধ প্রতীক রয়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাতটি জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দল, ৪৩টি রাজ্য ভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং ৬২৩টি অখ্যাত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়। যেসব দলের শুধুমাত্র রাজ্যের ভেতরে প্রভাব আছে তাদেরকে রাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক দল বলা হয়। আর যেসব দলের বেশ কিছু রাজ্যের মধ্যে প্রভাব আছে তাদের জাতীয় দল হিসাবে গণ্য করা হয়।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিন হাজার ৪৬১ জন স্বতন্ত্রসহ মোট প্রার্থী ছিলেন ৮ হাজার ৫৪ জন। বিজয়ী ৫৪৩ জনের মধ্যে ৩৯৭ জনই ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে। ১৩৬ জন রাজ্য পর্যায়ের দলের, ছয় জন ছিলেন অস্বীকৃত দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন চার জন।
গত নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৯১ কোটি ২০ লাখ, যারমধ্যে ভোট দেন ৬১ কোটি ২০ লাখ। অর্থাৎ, ভোটার অংশগ্রহণের ছিলো সর্বোচ্চ বা ৬৭ দশমিক চার শতাংশ। ২০১৯ সালে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণের হার ছিল ৬৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিলো।
৩০৩ বিপরীতে ৫২
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নরেন্দ্র মোদি ও তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তাদের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। এই দুই দল এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু দলের সঙ্গে জোট করেছে। বিজেপি তিন ডজনের বেশি দলের সঙ্গে এবার জোট করেছে, আর অন্যদিকে প্রায় দুই ডজন শরিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩০৩ আসন জয় পায় এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের মোট আসন ছিল ৩৫৩টি। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস দল জিতেছে মাত্র ৫২টি আসন এবং শরিকদের নিয়ে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৯১টি।
বর্তমানে, বিজেপি বিভিন্ন রাজ্য বিজয়ের পরে শক্ত অবস্থানে রয়েছে এবং জনমত জরিপ অনুসারে সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভের আশা করা হচ্ছে। বিজেপি একাই ভারতের ২৮টি রাজ্যের ১২টি নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে কংগ্রেস মাত্র তিনটি রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ করছে।
৩৭০ নাকি ৪০৪ আসন?
এবারের নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপি ৩৭০টি আসনের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন। ২০১৯ সালের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও যা ৬৭টি বেশি। আর জোটগতভাবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৪০০টি আসন জয়ের আশা করছে।
১৯৮৪ সালের পরে আর কোন দল এককভাবে ৩৭০টি আসন জয় লাভ করতে পারেনি। ওই বছরের নির্বাচনে কংগ্রেস দল এই অসাধ্য সাধন করেছিলো। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কংগ্রেস পার্টি এককভাবে ৪১৪ টি আসন পায়।
এবারের নির্বাচনে যদি নরেন্দ্র মোদী জেতেন এবং আরও পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকেন, তাহলে তিনিই হবেন ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ মেয়াদের সরকার প্রধান। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু প্রায় ১৬ বছর ৯ মাস দেশ শাসন করেন। আর তাঁর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী দেশ শাসন করেন ১৫ বছর ১১ মাস।