ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যেই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে মাত্র কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষে অন্তত ১৪ ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছে গাজার হামাস সরকারের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা আরএনএনের বরাতে ইরানভিত্তিক প্রেসটিভি জানিয়েছে, শনিবার আল-কাসসাম ব্রিগেডের কয়েকটি অতর্কিত হামলায় এসব দখলদার সেনা নিহত হয়।
এদিন সবচেয়ে বড় হামলাটি চালানো হয় খান ইউনিস শহরের আল-জানা এলাকায়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা প্রথমে ইসরাইলের তিনটি মেরকাভা ট্যাংকে হামলা চালায়। ওইসব ট্যাংকের আহত আরোহীদের উদ্ধার করতে আসে আরও কিছু দখলদার সেনা। এসময় তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালালে অন্তত ৯ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়।
আরএনএন জানিয়েছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একই ধরনের আরেকটি হামলা চালানো হয়। এ সময় ইসরাইলি সেনারা পালিয়ে একটি ভবনে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেও তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ হামলায় নিহত হয় আরও পাঁচ দখলদার সেনা।
এছাড়া এ দুই হামলায় বহু ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছে বলে দাবি আল-কাসসামের। পরে তিনটি হেলিকপ্টারে করে হতাহত সেনাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় দখলদার বাহিনী।
বরাবরের মতো এ হামলা বা হতাহতের বিষয়ে তেল আবিব কোনো তথ্য না প্রকাশ না করলেও ইসাইলি সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি শনিবার রাতে বলেছেন, গাজার খান ইউনিসে হামাসের সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়েছে।
এর আগে গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
অন্যদিকে হামাসের পাল্টা প্রতিরোধে গেলো ছয় মাসে গাজায় অন্তত ছয় শতাধিক ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে।
তবে হামাসের দাবি, হতাহত ইসরাইলি সেনার সংখ্যার অনেক বেশি। তবে নিজেদের বীর প্রমাণ করতে নেতানিয়াহু সরকার যুদ্ধের তথ্য গোপন করছে।