গাজা উপত্যকার রাফাহতে ইসরাইলের সম্ভাব্য স্থল ও আকাশ অভিযান থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি মনে করেন, আমেরিকাই পারে এই অভিযান থামাতে।
রোববার সৌদি আরবে এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, ইসরাইলকে রাফাহতে হামলা না চালাতে অনুরোধ করার জন্য আমরা আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। রাফাহ গাজার মিশর সীমান্তে অবস্থিত। ইসরাইলের অভিযানের মুখে গাজার বাদবাকি অংশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গিয়ে এ নগরীতে আশ্রয় নিয়েছে।
রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক বিশেষ সভায় দেয়া ভাষণে আব্বাস বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা ইসরাইলকে রাফাহতে হামলা না করতে বলে। যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ, যারা ইসরায়েলকে এই অপরাধ থেকে বিরত রাখতে পারে।
এ কারণে পশ্চিমা দেশগুলো এবং ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এর আগে গাজার দক্ষিণের ওই নগরীতে হামলা না চালানোর জন্য তেল আবিবকে অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে রাফাহতে অভিযান চালানোর সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেন, গাজার সব ফিলিস্তিনিই রাফাহ নগরীতে জড়ো হয়ে আছে। তাই সেখানে ইসরাইলের কেবল একটি ছোট হামলাও ফিলিস্তিনিদেরকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করবে। আর ফিলিস্তিনের জনগণের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়টা তখনই ঘটবে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট জর্ডান ও মিসরে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমি উদ্বিগ্ন। ইসরাইল একবার গাজায় তাদের কার্যক্রম শেষ করলে ফিলিস্তিনি জনগণকে পশ্চিম তীর থেকে জর্ডানে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
রাফাহ শহরে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের অবশিষ্ট কিছু ব্যাটেলিয়ন ধ্বংস করতে সেখানে হামলা চালানোর হুমকি কয়েক সপ্তাহ ধরেই দিয়ে আসছে ইসরাইল। রাফাহতে স্থল হামলা শুরুর আগে দিয়ে গত সপ্তাহে নগরীটিতে বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য ইসরাইলের কাছে অনুরোধ করেছে। গাজার বাকি অংশে ইসরাইলের সাত মাসের দীর্ঘ আক্রমণ থেকে পালানো ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি মিসরীয় সীমান্ত ঘেঁষে থাকা এ শহরে আশ্রয় নিয়েছে।