তুরস্কের ইজমির বন্দরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নোঙর করার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে দেশটির জনগণ। গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভকারীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই যুদ্ধজাহাজ বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে।
তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজমির বন্দরে যুক্তরাষ্ট্র যে জাহাজ পাঠিয়েছে, তার মধ্যদিয়ে তারা ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। এর প্রতিবাদে সোমবার রাত থেকেই তুরস্কের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা ইজমির বন্দরের প্রবেশপথে জড়ো হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করছে।
বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা রয়েছে, “হত্যাকরীদের জন্য আমাদের বন্দর অস্ত্র এবং রসদ সরবরাহের পয়েন্ট হতে পারে না। আমরা ইজমির বন্দর থেকে মার্কিন জাহাজের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে হত্যা ও রক্তপাত দেখতে চাই না।”
বিক্ষোভকারীরা শহরের গভর্নরকে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বন্দর ত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা ওই এলাকা ছেড়ে যাবে না।
তারা প্রশাসনের কঠোর নিন্দা জানিয়ে আরও বলেছে, মার্কিন সরকার ইরাক, সিরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলের জনগণকে মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছে।
এর আগে রোববার ১৫০০ মার্কিন সেনা নিয়ে ইউএসএস ওয়াপ্স তুরস্কের ইজমির বন্দরে নোঙ্গর করে।
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এ আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে পুরো বিশ্ব। রাশিয়া, চীন, বাংলাদেশ, নরওয়েসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এর প্রতিবাদে সরব।
অন্যদিকে এই গণহত্যাকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফান্সসহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশ।