জম্মু-কাশ্মিরে বিজেপিকে টেক্কা দিলেও হরিয়ান রাজ্যে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসকে দেখা গিয়েছিল ব্যাপক প্রচার করতে। সেই প্রচারে ভিড়ও হচ্ছিল যথেষ্ট। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল প্রচারের সঙ্গে মিল নেই।
এতো আয়োজনের পরও বিজেপিকে ঠেকাতে পারেনি কংগ্রেস। সেখানে টানা তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি।
তবে, এবার কংগ্রেসের আসন সংখ্যা গতবারের তুলনায় বেড়েছে। গতবার ৩১টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। এবার পেলো ৩৭টি আসন। কিন্তু বিরোধী দলের তকমাই থেকে যাচ্ছে। যখন গণনা চলছিল তখন আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখা যাচ্ছিল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু যখন পেছাতে শুরু করল কংগ্রেস, তখন নেতা–কর্মীরা বলছিলেন আরও রাউন্ড আছে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলে শিকে ছেড়েনি কংগ্রেসের।
হরিয়ানায় ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতে জিতেছে বিজেপি। রেকর্ড তৃতীয়বার সরকার গড়তে চলেছে তারা। শুরুতে জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও শেষ অবধি কংগ্রেসের ঝুলিতে ৩৭টি আসন এসেছে। সেখানে আম আদমি পার্টি ৮৮টি আসনে প্রার্থী দিলেও, একটিতেও জিততে পারেনি। ভরাডুবির পরই বড় সিদ্ধান্ত নেয় আম আদমি পার্টি। দিল্লি লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করবে না আপ।
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ হরিয়ানার বিধানসভায় হারের কারণ হিসেবে ইভিএমে ব্যাপক গোলমালের কথা বলেছেন। সুতরাং ভোটে রিগিং হয়েছে বলতে চাইছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার সকাল হতেই কংগ্রেসের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। ততক্ষণে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ আসনে পিছিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। পরিস্থিতি দেখে বন্ধ হয়ে যায় বাজি ফাটানো, মিষ্টি বিতরণ এবং ঢাক বাজানো।
ভোটের ফলে দেখা গেছে, দলিত আসনগুলোয় কংগ্রেস খারাপ না করলেও, জাটভূমিতে কংগ্রেসের চেয়ে বিজেপি তুলনামূলক ভালো করেছে। জাটদের বিরুদ্ধে অ-জাট ভোট জোটবদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিজেপি আগের মতো এবারেও সফল। গত বছর মধ্য প্রদেশ ও ছত্তিশগড় বিধানসভার ফলেরই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল হরিয়ানায়। হরিয়ানায় বিজেপির সাফল্য যতখানি, ঠিক ততখানিই প্রকট কংগ্রেসের ব্যর্থতা।
সেই ব্যর্থতার একটা প্রধান কারণ প্রার্থী মনোনয়ন এবং হুডার প্রতি অতি নির্ভরতা। কংগ্রেস একই রকম ব্যর্থ জম্মুতেও। সেখানে হিন্দু প্রধান অঞ্চলে বিজেপির বিরুদ্ধে তারাই ছিল প্রবল প্রতিপক্ষ। কিন্তু প্রার্থী বাছাইয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতার দরুন প্রতিটি আসনেই তারা পর্যুদস্ত হয়েছে। জম্মুতে কংগ্রেস-এনসি জোট যে আসনগুলো পেয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিই মিশ্র এলাকায়। উপত্যকায় কংগ্রেস জিতেছে এনসির বদান্যতায়।