গাজা উপত্যকার প্রায় সব ফিলিস্তিনিই মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় উপত্যকাটিতে ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া, গাজা সিটির একটি স্কুলে হামলা চালানো হয়। এছাড়া লেবাননের রাজধানী বৈরুতেও হামলা অব্যাহত রাখে নেতানিয়াহুর বাহিনী।
এদিকে, গাজায় ও লেবাননে হামলার জন্য অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরাইলের ১৩০ রিজার্ভ সেনা।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে শনিবারও রাতভর হামলা চালিয়ে গেছে ইসরাইলি বাহিনী। সন্ধ্যায় গাজা সিটির সালাহ আল-দ্বীন স্কুলেও হামলা চালিয়েছে তারা। পরে রাতে বেইত লাহিয়ার একটি বাড়িতেও হামলা চালায় ইসরাইল। এদিনও নতুন করে প্রাণ ঝরেছে প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনির।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, হামাসের একটি কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল। যদিও এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেয়নি তারা।
এদিকে, বেইত লাহিয়ায় ইসরাইলি হামলার কড়া সমালোচনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন উল্লেখ করে ‘নিরীহ সাধারণ মানুষকে পদ্ধতিগত ও নির্মমভাবে হত্যার’ অভিযোগ তুলেছে।
ইসরাইলি সেনারা উত্তর গাজায় নূন্যতম মানবতা মানছে না। এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা জয়েস মুসুয়া। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরাইলিরা যা করছে তাতে উত্তর গাজার সব মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের কাছে লেখা একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ১৩০ জনেরও বেশি ইসরাইলি রিজার্ভ সেনা। চিঠিতে তারা গাজা ও লেবাননে আবারও যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ এবং গাজায় আটক ১০১ বন্দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পরিষেবা বন্ধ করার কথাও বলেছেন তারা।
গাজায় চলমান যুদ্ধের সময়েও লেবাননের বৈরুতসহ বিভিন্ন জায়গায় সমান তালে হামলা চালিয়ে গেছে ইসরাইল। তবে এসব হামলায় কোন হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।