যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ফিরে তীব্র খাদ্যের সংকটের মুখে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। এক টুকরো রুটির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। উত্তরাঞ্চলে পর্যাপ্ত আবাসন, পরিষ্কার পানি, খাদ্যের সংকটে দিন পার করছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা।
যুদ্ধবিরতির পর নিজ বাস ভূমিতে ফিরে এসেও যেন কমেনি গাজাবাসীর দুঃখ, দুর্দশা। বাড়িঘর হারিয়ে ঘর শূন্য অবস্থায় রয়েছেন শত শত বাসিন্দা। এছাড়াও দেখা দিয়েছে পরিষ্কার পানি ও মজুদ খাদ্যের সংকট।
ফিরে আসা ফিলিস্তিনিদের একজন বলেন, ইসরাইলি সেনারা গাজার বেশিরভাগ সুপেয় পানির উৎস ধ্বংস করে দিয়েছে। এখানে কোন কুয়া নেই, এমনকি মাটির নিচ থেকে পানি তোলার পাইপগুলো পর্যন্ত তারা সরিয়ে ফেলেছে। এখন তিন চার কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হচ্ছে।
পুরো উত্তরাঞ্চলে একটি বেকারি খোলা থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় কোন খাবার পাচ্ছেন না ফিরে আসা বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিরা। একটি রুটির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমি ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছিলাম। খাবারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। কিন্তু জীবন বাঁচানোর জন্য এছাড়া এখন আমাদের কাছে কোন পথ নেই। এখন আমরা খুবই কষ্টে আছি।
এ অবস্থায় গাজায় গম, আটার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বসবাসের জায়গা পেতে তাঁবু টানানোর ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন অনেকে। গাজার উত্তরাঞ্চল পুরো খালি হয়ে গেছে বলে জানান বাসিন্দারা।
তারা বলেন, যে পরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ এখানে চালানো হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের বহু সময় লাগবে। জীবন টিকিয়ে রাখার কোন ব্যবস্থা তারা অক্ষত রেখে যায়নি। সব ধ্বংস করেছে। মাথার উপর ছাদ নেই, পানির উৎস নেই, ফসল নেই, খাবার নেই। কি যে দুর্বিষহ দিন পার করছি তা ভাষায় বলা যাবে না।
অনেকে থাকার জায়গা না পেয়ে আশ্রয় নিচ্ছে কবরের পাশে। এ অবস্থায় গাজা পুনর্বাসনের কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনিরা।