ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে একটি অবৈধ স্বর্ণের খনি ধসে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং আরও সাতজন নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা। ভারী বর্ষণে ভূমিধসের ফলে সোনার খনিটিতে ধস ঘটে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ সংস্থার প্রধান ইরওয়ান এফেন্দি বলেছেন, ভারি বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোলোক জেলার ভূমিধস হয়। এরপর অবৈধ সোনার খনিটিও ধসে পড়ে। খবর রয়টার্স’র।
খনিটির অবস্থান প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় উদ্ধারকারীদের আট ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে ওই স্থানে পৌঁছাতে হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ইরওয়ান।
ইরওয়ানের অনুমান অনুযায়ী, ঘটনার সময় খনিতে অন্তত ২৫ জন লোক ছিল। তাদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তিনজন আহত এবং সাতজন নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল শুক্রবার ভোর থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশির পাশাপাশি মৃতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
ছোট এবং অবৈধ খনির কারণে প্রায়শই ইন্দোনেশিয়ায় নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। খনিজ সম্পদে ভরপুর অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষের পক্ষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।