ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
কুরস্কে অভিযান শুরুর পাঁচদিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন জেলেনস্কি। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ হামলাকে সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসেবে দেখছে মস্কো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ভাষণে জেলেনস্কি ইউক্রেনের যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, তিনি দেশটির সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কির সাথে রাশিয়ায় অভিযান নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেন প্রমাণ করছে যে তারা প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং আক্রমণকারীর উপর প্রয়োজনীয় চাপ নিশ্চিত করতে পারে।
গত মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত পার হয়ে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে হামলা শুরু করে মস্কোকে চমকে দেন ইউক্রেনের সেনারা। অবশ্য এর পালটা জবাব দিতে শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের তিনটি সীমান্তে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে মস্কো।
তারপরও এবারের মতো রাশিয়ার এতটা ভেতরে ঢুকে কখনো হামলা করতে পারেনি ইউক্রেন। কুরস্কে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সীমান্তের উভয় পাশ জুড়ে জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই সীমান্ত এলাকা থেকে ৭৬ হাজারের বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং সুমি অঞ্চলে রোববার ভোরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো কাজ করছে। শহরে বিমান হামলার সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে। টেলিগ্রামে এক পোস্টে বেসামরিক নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।