মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কা ও সংযমের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল। সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সপ্তাহান্তে ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা তলব করেন নেতানিয়াহু। ওই সভাতেই সিদ্ধান্ত হয় যে, ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেওয়া হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
যদিও হামলায় কোনো মৃত্যু বা তেমন ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি, তারপরও ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেছেন, তেল আবিব এর জবাব দেবে। যদিও তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি কোনো বিবরণ দেননি।
সোমবার ইরানের হামলায় স্বল্প ক্ষতিগ্রস্ত নোভাটিম বিমান ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন হালেভি। সেখানেই তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলের ভূখণ্ডে এত বেশি সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে। জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও, উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে ইসরাইল।
এদিকে, ইরান আর কোনো উত্তেজনা চায় না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তবে ইসরাইল জবাব দিতে চাইলে, ইরানে আবারও আঘাত হানলে, তারাও বসে থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ইরানের হামলার পরও গাজায় চলমান অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল।
এপ্রিলের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় কনস্যুলেট ভবনটি ধুলিস্মাৎ হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন ইরানি কূটনীতিক ও সেনাসদস্য হতাহত হন। এর জবাবে শনিবার ব্যাপক সংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামলা চালায়।