এবারের ঈদ উৎসবে দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোর পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে উজ্জ্বল রঙ। কাপড় ও ডিজাইনে মাথায় রাখা হয়েছে বৈশাখী উৎসবকেও। ফ্যাশন হাউজগুলোর বিভিন্ন আউটলেটে পসরা বসেছে বাহারি ডিজাইন ও রঙের সুতির পোশাকের।
ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের মেলবন্ধনেই রাখা হচ্ছে পোশাকের দাম। ঈদকে ঘিরে দিন ও রাতের কথা ভেবে দুই ধরনের পোশাক করেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো।
দিনে অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক পোশাক এবং রাতে পার্টির কথা মাথায় রেখে এক্সক্লুসিভ পোশাক রেখেছে ফ্যাশন হাউজগুলো।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড কে-ক্রাফটে দিনের পোশাকের দাম রাখা হচ্ছে তিন থেকে ছয় হাজার টাকার মাঝে। রাতের পোশাকের দাম পাঁচ থেকে ১০ হাজার।
কে ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী খালিদ মাহমুদ খান বলেন, আমরা যেখানে দেখছি কাপড়ের দাম এবং মজুরি কিছুটা বেড়েছে সেখানে আমরা চেষ্টা করেচি নকশা এবং কারিগরি দিকে পরিমিতিবোধ এনে কিছুটা সাশ্রয় করতে পারি। যাতে টোটাল কস্টে ক্রেতার ওপর চাপ না পড়ে।
দেশীয় আরেক প্রতিষ্ঠান অঞ্জনস এ বৈশাখ ও ঈদের কথা ভেবে পাঞ্জাবি ও থ্রি পিসের দিনের পোশাকের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ছয় হাজার টাকার মাঝে।
অঞ্জন’স এর স্বত্বাধিকারী শাহীন আহমেদ বলেন, মূল্য সহনশীল রাখতে আমাদের অনেক ধরনের কাজ করতে হয়। ডিজাইনকে ভিন্ন আকার দিতে হয়। কিংবা ভ্যালু এডিশনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো চিন্তা করতে হয়।
গরমের কথা মাথায় রেখে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সূতির কাপড়কে আর রাতের পোশাকে সিল্প, হাফসিল্ক কাপড়কে। ছেলেদের পোশাকে ব্যবহৃত হয়েছে জ্যামিতিক মোটিফ আর মেয়েদের পোশাকে ফ্লোরাল মোটিফ।
শাহীন আহমেদ আরও বলেন, আমরা যে পারিপার্শ্বিক যে বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করি, যে ডিজাইনগুলি নিয়ে কাজ করি সেখান থেকে মোটিফ সিলেকশন করি। ছেলেরা জ্যামিতিক মোটিফ বেশি পছন্দ করে। মেয়েদের পোশাকে জ্যঅমিতিক মোটিফের পাশাপাশি ফ্লোরাল মোটিফ ব্যবহার করা হয়।
খালিদ মাহমুদ খান বলেন, এবার পোশাকের ক্ষেত্রে সুতি কাপড় বিশেষ করে আরামদায়ক কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে।
উজ্জ্বল রঙ এর পোশাকে রঙ্গিন হয়ে উঠুক ঈদ আনন্দ, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।