জাপানে শ্রমিক পাঠাতে সরকার নির্ধারিত ফি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতো কম ফি’তে শ্রমিক রপ্তানিতে উল্টো হয়রানির শিকার হবে মানুষ। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি এক কর্মকর্তা বলছেন, সবার সাথে আলোচনা করে বাস্তবসম্মত খরচ ঠিক হবে। জাপান যেতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ ঠিক করেছে সরকার।
গেল ২৮ শে মে সরকারি সফরে জাপান যান প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস। চারদিনের সফরে, সরকারের সাথে সরকার বা জি টু জি , সরকারের সাথে ব্যবসায়ী- জি টু বি এবং ব্যবসায়ীর সাথে ব্যবসায়ী বা বি টু বি পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
যার মধ্যে সরকারি জনশক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিএমইটির সাথে জাপানের বেসরকারি দুই সংস্থার সমঝোতা স্মারক সই হয়। ৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক শ্রমিক নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে সমঝোতায়।
স্মারক অনুযায়ী, ২০২৬ সালে জাপানে পাঠানো হবে ২ হাজার শ্রমিককে, ২০২৭ সালে ৬ হাজার, ২০২৮ সালে ১২ হাজার , ২০২৯ সালে ৩০ হাজার ও ২০৩০ সালে ৫০ হাজার শ্রমিক জাপান পাঠাবে বাংলাদেশ।
পাঁচ ক্যাটাগরিতে শ্রমিক পাঠাবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে নির্মাণ খাতে ৪০ হাজার এবং কলকারখানার ২০ হাজার শ্রমিক আর বয়োবৃদ্ধ জাপানি নাগরিকদের সেবা দিতে কেয়ারগিভার ভিসায় ২০ হাজার এবং গাড়ি সার্ভিসিং ও কৃষি খাতে শ্রমিক যাবে ২০ হাজার।
টোকিওর বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) জয়নাল আবেদিন বলেন, জাপানে যেতে শ্রমিকদের গুনতে হবে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। যা খুবই ব্যয় সাশ্রয়ী। তাদেরকে যেমন দক্ষ হয়ে উঠতে হবে তেমনি শিখতে হবে জাপানি ভাষা।
জনশক্তি রপ্তানিকারক আমানু সাব্বির বলছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই টাকায় জাপানে শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হবে না। ফলে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়বে শ্রমিকরা।
আর জাপানে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে ভাষা শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে জাপানি ভাষা শিক্ষক পাঠানোর অনুরোধ করেছে সরকার। বর্তমানে শিক্ষার্থী ও শ্রমিক ভিসায় জাপানে আছেন ৩৫ হাজার বাংলাদেশি।