সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর আক্রমণ দেশের জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর আক্রমণ হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে কলাভবনের সামনে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বক্তারা সমাবেশে বলেন, এ ঘটনা নাটক হলেও, বাস্তবে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসবে ভয়াবহ আক্রমণ করা হয়েছে। তাদের প্রতিমা ভাংচুর, ঘর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া এমনকি নোয়াখালীতে দুই জনকে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বাঁধা দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে চারজন।
সংবিধানে থাকা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এমন আক্রমণকে নজিরবিহীন বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতির ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশে তারা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলার অজুহাত বানাতে কোরআনের অবমাননা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় সমাবেশ
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল আক্রান্ত মন্দির ও এলাকা ঘুরে এসেছেন। তারা বলেন, কুমিল্লার ঘটনার পরও আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। হামলা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।
আগেও ভিন্ন ধর্মের মানুষে উপর হামলার বিচার হয়নি এ কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তারা।
অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ গড়তে '৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার দাবি করেন কোন কোন শিক্ষক।
একাত্তর/এসজে