প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন জোরদার হয়েছে। বিশেষত শান্তি চুক্তির কারণে পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত হয়েছে পাহাড়ি জনপদের মানুষ।
রোববার (২২ জানুয়ারি) ‘পার্বত্য বিতর্ক উৎসব-২০২৩’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এ কথা বলেন। খবর বিজ্ঞপ্তির।
তিনি আরো বলেন, দেশে ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি থাকলেও কয়েকটি নৃ-গোষ্ঠি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ছোট হয়ে যাওয়া কয়েকটি নৃ-গোষ্ঠি চাকমা মারমাসহ অন্যান্যদের সাথে মিশে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সুরক্ষা এবং তাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পার্বত্য এলাকার তিনটি জেলায় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। পাহাড়ি এলাকায় অপরিকল্পিত পর্যটনের কারণে পরিবেশ ও প্রতিবেশ এর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই অপরিকল্পিত অবকাঠামো তৈরি এবং নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া যত্রতত্র পর্যটকদের ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
রাজধানী এফডিসি মিলনায়তনে ব্র্যাক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র যৌথ আয়োজনে এবং গ্লোবাল এ্যাফেয়ার্স কানাডার সহযোগিতায় এই পার্বত্য বিতর্ক উৎসব আয়োজন করা হয়।
৩১ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি পার্বত্য বিতর্ক উৎসবের সমাপণী অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: ডিবির হারুনসহ ১০ পুলিশের নামে মামলার আবেদন
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রামের পরিচালক জনাব সাফি রহমান খান। পার্বত্য বিতর্ক উৎসবে পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
একাত্তর/আরএ