১৪ দিন অর্থাৎ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।
শুক্রবার গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে অংশ নিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ছয় মাস পার হলেও স্থানীয় সরকার ইস্যুতে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। স্থানীয় সরকার ছাড়া একটা সরকার শক্তিশালী হবে কীভাবে?
নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতার কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যত আওয়াজ দেখি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে তত আওয়াজ দেখি না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করতে হবে। তার আগে নির্বাচন করা যাবে না। সংস্কার করতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। এর মাধ্যমে প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষা যাচাই করতে পারব।
ফ্যাসিবাদ নির্মূল ও গণহত্যাকারীদের বিচারসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত গণ-অধিকার পরিষদ সারাদেশে আন্দোলনের পাশাপাশি রাজপথে সোচ্চার থাকবে বলেও জানান তিনি।
এসময় দুই সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ছয় মাস হয়ে গেলো এখনও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছেন; যুবলীগ-আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাইলে আগে উপদেষ্টা পরিষদকে সংস্কার করতে হবে। এই পুলিশ-র্যাবকে দিয়ে সংস্কার করা যাবে না। প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আগে প্রশাসনের মধ্যে সংস্কার করতে হবে।