বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ তিন জন কেন্দ্রীয় নেতা সম্প্রতি জামায়াত–ই–ইসলামী পাকিস্তানের ছাত্রসংগঠন ইসলামী জমিয়ত–ই–তালাবা পাকিস্তানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাতের মাধ্যমে শিবিরের সভাপতি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
নাছির বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যায় নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র সংঘের মূল অংশটি হলো আজকের জমিয়ত–ই–তালাবা পাকিস্তান। সেই সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শিবিরের সভাপতি গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। আসলে তারা এখনও তাদের প্রিয় অভিভাবককে ভুলতে পারেননি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যাকারী সংগঠন, যারা আমাদের ভাইদের হত্যা ও বোনদের ধর্ষণ করেছিল, তাদের এই উত্তরসূরি জমিয়ত–ই–তালাবা পাকিস্তানের নেতাদের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন শিবিরের সভাপতি। জমিয়ত–ই–তালাবা পাকিস্তানের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিবির চরমভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জমিয়ত–ই–তালাবা তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছে, তারা শিবিরের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে মিশন বাস্তবায়নে কাজ করবে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে জমিয়ত–ই–তালাবা কোন মিশনে নেমেছে, তা ছাত্রশিবিরকে স্পষ্ট করতে হবে। ১৯৭১ সালের গণহত্যাকারীদের সঙ্গে দেখা করে ছাত্রশিবির যে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছে, তার জন্য তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।
এর আগে রোববার (২২ জুন) জমিয়ত–ই–তালাবার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুসলিম যুব সামিটের এক ফাঁকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ তিন জন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইসলামী জমিয়ত–ই–তালাবা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান বিলাল হাশমি। ইসলামী জমিয়ত–ই–তালাবার সেক্রেটারি জেনারেল ওয়াসিম হায়দার ও করাচি শাখার সভাপতি মুহাম্মদ আবিশ সিদ্দিকীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন আজিজুর রহমান আজাদ (প্রচার সম্পাদক) ও মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী (আন্তর্জাতিক সম্পাদক)।