শিশু সুরক্ষার বিষয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এতে করে মোটা জরিমানা গুণতে হতে পারে মেটাকে। ইইউ বলছে, এই দুই প্ল্যাটফর্ম শিশুদের আগ্রাসী করে তুলছে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। এরইমধ্যে এবার শিশুদের আচরণগত ত্রুটির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইউরোপীয় কমিশন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এই দুই প্ল্যাটফর্ম শিশুদের আগ্রাসী করে তুলছে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, এসব অভিযোগের জেরে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেটার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইউরোপীয় কমিশন।
ইইউ এক্সিকিউটিভ বলছেন, ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্ট নামের আইন ভঙ্গের অভিযোগ এসেছে মেটার বিরুদ্ধে। যা গত বছর পাস হয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিলো, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তিমূলক আচরণ তৈরি, ভুল তথ্য ছড়ানো ও অনলাইন বিভিন্ন স্ক্যাম পরিচালনার মতো বিষয়গুলো ঠেকানো।
এদিকে, তদন্তের প্রতিক্রিয়ায় মেটা দাবি করেছে, অনলাইনে অল্প বয়স্কদের সুরক্ষায় গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের টুল ও পদ্ধতি বিকাশ করে আসছে তারা। গোটা শিল্পই এ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি জানিয়ে মেটা বলছে, ইউরোপীয় কমিশনের কাছে কাজের বিবরণী দেখাতে প্রস্তুত তারা।
ডিএসএ’র নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রমাণ মিললে নিজেদের বৈশ্বিক বার্ষিক আয়ের ছয় শতাংশ পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে পারে মেটা। মেটার সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদনে, ২০২৩ সালে কোম্পানির সামগ্রিক আয় ছিল ১৩ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার। সে হিসাবে মেটার জরিমানা হতে পারে আটশ কোটি ডলার পর্যন্ত। যা প্রায় ৯৪ হাজার কোটি টাকার সমান।