দুর্বৃত্তদের হামলায় গাজীপুরের নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিগগিরই চালু করার লক্ষ্যে এ পথে বসানো ২২টি চলন্ত সিঁড়ি আর সাতটি স্টেশনের জেনারেটর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সব মিলে কত টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে, সে হিসাব এখনও মেলেনি। বিআরটি-এমআরটি ও এক্সপ্রেসওয়েসহ নানা প্রকল্পে ক্ষতি নির্ধারণে আট সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেলো শুক্রবার উত্তরায় ছিলো উত্তাল পরিস্থিতি। এ আন্দোলনকে আশ্রয় করে উত্তরায় নির্মাণাধীন বিআরটিসহ নির্মাণাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। আগুন দেয়া হয় বিআরটির ২২টি চলন্ত সিঁড়িতে। শিগগিরই চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কিছুদিন আগেই এ সিঁড়িগুলো স্থাপন করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় বিআরটির বিভিন্ন স্টেশনের লিফট জেনারেটরসহ সবকিছু।
প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই প্রকল্পের বেশিরভাগ অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেবল বিআরটি প্রকল্পের ক্ষতিই অন্তত ৬০ কোটি টাকার। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা এই প্রকল্প আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চালু হবার কথা ছিলো। দুর্বৃত্তদের এমন কর্মকাণ্ডে সেটি আবারও পিছিয়ে গেলো।
গেলো বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মোট দুই দফা হামলা হয় বনানীর সেতু ভবনে। পুড়িয়ে দেয়া হয় ভবনটির বড় একটি অংশ। জ্বালিয়ে দেয়া হয় ভবনটির সামনে থাকা ৫৯টি গাড়ি।
এখন তাঁবু খাঁটিয়ে অস্থায়ীভাবে সেখানে অফিস করছেন কর্মকর্তারা। সেতু সচিব মনজুর হোসেন জানান, কেবল বিআরটি প্রকল্প নয়, দুরিতদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল সরকারি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং আর্থিক ক্ষতি নিরূপণে মেট্রোরেল ও বিআরটি আলাদা দুইটি কমিটি করেছে বলেও জানান সেতু সচিব।
দুর্বৃত্তদের এমন তাণ্ডবে কেবল আর্থিক ক্ষতিই নয়, শেষ হয়ে আসা এসব প্রকল্পের কাজেও লাগবে অনেক বাড়তি সময়, বাড়বে প্রকল্প ব্যয়ও।