রাজধানীর পল্লবীতে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ বাবা-মায়ের পর এবার মৃত্যু হলো শিশু মোহাম্মদের। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হলো।
সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মোহাম্মদের (১০)। সে জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি ছিলেন।
বার্ন ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, নিহতের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির মা রুমা আক্তার (৩২) ও গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) তার বাবা আব্দুল খলিল মারা যান।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট সাত জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শাহজাহানকে (৩৫) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১, ব্লক-সি, এভিনিউ-৫ এর একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচ জনসহ সাত জন দগ্ধ হন। পরে তাদের জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন- রঙ মিস্ত্রি আব্দুল খলিল (৪০), তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে আব্দুল্লাহ (১৩), ছেলে মোহাম্মদ (১০), ইসমাইল (৪), একই বাসার ভাড়াটিয়া গার্মেন্টস কর্মী সপ্না (২৫) ও তার স্বামী শাহ্জাহান (৩৫)।
চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, বর্তমানে তিন জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর।
দগ্ধ খলিলের ভায়েরা আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, ওই বাসায় কোনোভাবে পুরো রুমটিতে গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়েছিলো। ঘটনার রাতে মশার উৎপাতের কারণে খলিল রাত আনুমানিক তিনটার দিকে কয়েল জ্বালানোর সময়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খলিলের বড় ভাই মিলন জানান, ওই বাসার গ্যাসের লাইন থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে রুমে জমা হয়েছিলো বলে মনে করছেন তিনি।
ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের নিয়ে আসেন।