সরকারি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের রেল লাইন অবরোধের প্রায় সাত ঘণ্টা পর রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে কমলাপুর থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন স্টেশন মাস্টার শাহাদাত হোসেন।
তিনি গণমাধ্যমে বলেন, এখনও পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন বিলম্ব হয়েছে। লাইন ক্লিয়ার হলে আমরা সব ট্রেন ছেড়ে দিবো। এখনও শিডিউল করা হয়নি। ওইপাশে ক্লিয়ার হলে শিডিউল সাজানো হবে।
এর আগে সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটার পর তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা মহাখালী লেভেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেন। পরে মহাখালী রেলগেটে লাইনের ওপর কয়েকজন শিক্ষার্থী শুয়ে পড়েন। এর পরপরই প্রায় সারাদেশের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সারাদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া ২০টি ট্রেন শিডিউল জটিলতায় পড়ে।
এতে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার রেলযাত্রী। তারা এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ে সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসারও আহ্বান জানান তারা।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিকেলে রাজধানীর মহাখালী রেলগেট এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য মোতায়েন করা হয়।
‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মহাখালীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও রেললাইন অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।