ফুটপাত দখলের কারণে সৌন্দর্য হারাচ্ছে পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি। যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
পর্যটন পরিবেশ বজায় রাখা তো পরের কথা সাধারনভাবে সুষ্ঠ ও পরিবেশগত জীবণ যাপনেও প্রতিনিয়ত বাধা গ্রস্থ হচ্ছে পার্বত্য জেলার সাধারন নাগরিকরা।
এসবের জন্য পৌরসভার অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে নগরবাসী। আর মেয়র বলছেন, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে হলে পৌরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।
রাঙ্গামাটির বনরুপা বাজারের উপা দিয়েই পলওয়েল পার্ক অ্যান্ড কটেজ, ঝুলন্ত সেতু, শিশু পার্কসহ নানা জায়গায় যেতে হয় পর্যটকদের।
এই বনরূপা বাজার এলাকায় ফুটপাত দখল সেখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে নির্ধারিত কোন জায়গা না থাকায় এখানে ফুটপাত দখল করে ফেলে রাখা হয়েছে আবর্জনা।
বাতাসে ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধ। যা রীতিমতো নিত্যদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে। আর প্রধান সড়কের চেক পোস্টের কাছেও ফুটপাথ করে নিয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শহরের প্রধান তিনটি বাণিজ্যিক এলাকা রিজার্ভ বাজার, বনরূপা বাজার ও তবলছড়ি বাজার এলাকায় বর্জ ব্যবস্থাপনা একেবারেই নাজুক।
যত্রতত্র পার্কিং ও ফুটপাতের উপর স্থাপনা রাখায় শহরের সৌন্দর্য্যহানির পাশাপাশি নগরবাসীর ভোগান্তিও বেড়েছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।
দীর্ঘ ৩৯ বছরে রাঙামাটি শহরের ফুটপাত জনসাধারন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ২০০টি স্থানে ফুটপাত কেটে নিজেদের ব্যাক্তি সম্পদ হিসাবে ব্যবহার করছে একশ্রেণীর মানুষ।
মানুষের অভিযোগ আছে, প্রশাসন পর্যটনবান্ধব শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন নেই। মাঝে মধ্যে জেলা প্রশাসন অভিযান চালালেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।
তারা মনে করেন, যথাযত আইন প্রয়োগ না হওয়ার কারণে বর্তমানে রাঙামাটি শহর অবৈধ দখলদারদের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে।
শহরের পরিচ্ছন্নতা শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি স্বীকার করে নিয়ে মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলছেন, স্থায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ডাম্পিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা চলছে।