পটুয়াখালীর বাউফলে তরমুজবোঝাই ট্রলারে ডাকাতির সময় গণপিটুনির শিকার অজ্ঞাত পরিচয়ের সেই ডাকাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার দুপুর দেড়টায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন ও পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাউফল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোররাতে তেঁতুলিয়া নদীর তালতলা পয়েন্ট থেকে ৭-৮ জন ডাকাত একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে ১০ হাজার পিস তরমুজবোঝাই একটি ট্রলারের পিছু নেয়। ট্রলারটি গলাচিপার চরশিবা থেকে চাঁদপুর যাচ্ছিলো। একপর্যায়ে ডাকাতরা বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় কাছে তরমুজবোঝাই ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসময় ডাকাতরা ৯ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তরমুজের ট্রলারের এক ব্যক্তি এক ডাকাতকে জাপটে ধরে নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর ডাকাতরা তাদের ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আহতদের চিৎকারে নদীর তীরবর্তী লোকজন জড়ো হয় এবং জাপটে ধরা ডাকাতকে গণপিটুনি দেয়। এতে ওই ডাকাত গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ডাকাতসহ আহতদের উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আহত ডাকাতকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, গণপিটুনিতে ওই ডাকাত অসুস্থ হয়ে পরায় তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা সম্ভব না হলেও পরে খোঁজখবর নিয়ে তার পরিচয় পাওয়া গেছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালর মর্গে রাখা হয়েছে এবং স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে।