হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমাকে অপহরণের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ২৮ বছর আগের ওই ঘটনায় বাদীর তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করে মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত।
মঙ্গলবার রাঙামাটির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তা এ আদেশ দেন।
কল্পনা চাকমা অপহৃত হলেও কে বা কারা করেছে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, বলে দেয়া চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনই বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন কল্পনার ভাই কালিন্দী কুমার চাকমার আইনজীবী সুস্মিতা চাকমা।
চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে কারও দায় পাওয়া না যাওয়ায় কল্পনার ভাইয়ের মামলাটির বিচার আর এগোবে না। এর ফলে ২৮ বছর আগের অপহরণের মামলাটির অবসান হলো।
নারাজি আবেদন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্তও আলোচনা করে পরে বাদী পক্ষ নেবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সুস্মিতা।
১৯৯৬ সালের ১১ জুন রাতে বাঘাইছড়ি থানার নিউ লাল্যাঘোনা থেকে অপহরণ করা হয় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমাকে। এরপর তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। ঘটনার পরদিন বাঘাইছড়ি থানায় মামলা হয়।
২০১০ সালের ২১ মে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেয়। তখন মামলার বাদী ও অপহৃতার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা তা প্রত্যাখ্যান করে ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি করেন।
২০১৬ সালে আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে রাঙামাটির ওই সময়কার পুলিশ সুপার সৈয়দ তারিকুল হাসানকে এ মামলার তদন্তভার দেন। তিনি দুই বছর পর ২০১৮ সালে কারও বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ার তথ্য জানিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রতিবেদনেও সেসময় নারাজি দিয়েছিলেন কল্পনার ভাই।
২০১৮ সালে মামলার বাদী কালিন্দী চাকমা আদালতে জেলা পুলিশ সুপারের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করে পুনঃতদন্ত চেয়েছিলেন। সেই আবেদনটিই নামঞ্জুর করা হয়েছে মঙ্গলবার।
আদেশের পর কালিন্দী চাকমা বলেন, অপহরণের ২৮ বছর পরে এই আদেশ দুঃখজনক। আমি আশা করেছিলাম, ন্যায়বিচার পাবো। কিন্তু এই আদেশে হতাশ। আমি উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচারের জন্য আবেদন করবো।