নতুন শিক্ষা কারিকুলামের পরীক্ষাতেও প্রশ্ন ফাঁস। এ নিয়ে অভিবাবকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও এতে শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সুরক্ষিত একটি অ্যাপের মাধ্যমে বিতরণ করা এই প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের শনাক্ত করার দাবি উঠেছে।
শিক্ষকরা বলছেন, স্কুলের অভ্যন্তরীণ এসব পরীক্ষার প্রশ্ন শিক্ষকরাই যদি তৈরি করতেন, তাহলে এমন অভিযোগ উঠতো না।
৩ জুলাই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৩৪ হাজার প্রতিষ্ঠানে অর্ধ-বার্ষিক মূল্যায়ন। তবে পরীক্ষার আগের দিনই প্রশ্ন ভেসে ওঠে সামাজিক মাধ্যমে। তাই, কারিকুলাম আর মূল্যায়ন নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
কারিকুলাম নিয়ে যাদের কাজ করা শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের অনেক ভালো দিক রয়েছে। তবে প্রশ্নফাঁস হলেও শিক্ষার্থীরা যে ক্ষতির মুখে পড়বে না, এ বিষয়টি বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একই সাথে তিনি প্রায় দুই বছর চালু হওয়া শিক্ষাক্রমের সাথে মূল্যায়নের বিষয়টি দেরিতে প্রকাশ করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলেন, স্কুলের অভ্যন্তরের পরীক্ষার প্রশ্ন শিক্ষকদের করতে দেওয়া উচিত। তাতে করে এমন অভিযোগ যেমন উঠবে না, আবার তারাও নতুন প্রশ্ন তৈরিতে অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন।
অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্য পাঁচ ঘণ্টা এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য চার ঘণ্টায় মূল্যায়ন করা হচ্ছে, যা চলবে মাসব্যাপী।