গরম না কমা পর্যন্ত খুব সকালের শিফটে স্কুল চালুর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গরমের কারণে অতিরিক্ত সাত দিন বন্ধ রাখার পর সারাদেশে স্কুল-কলেজ খুললে সাংবাদিকদের কাছে এই দাবির কথা জানান তারা। বেশিরভাগ স্কুলেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম ছিলো।
সরকারি নির্দেশ মেনে বরিশালের সব স্কুলে সকাল আটটা থেকে প্রাথমিক এবং ১০টা থেকে শুরু হয় মাধ্যমিক পর্যায়ের ক্লাশ। তবে কোনো স্কুলেই অ্যাসেম্বলি হয়নি।
প্রথম দিনে সব স্কুলেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। অভিভাবকরা জানান, গরমে শিশুরা দ্রুত অসুস্থ হয়। কিন্তু স্কুল খোলার কারণে তাদের আসতে হয়েছে।
রংপুর নগরীর ১২১টিসহ পুরো জেলার ৬৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। সেখানও তাপপ্রবাহের কারণে হয়নি অ্যাসেম্বলি। শিক্ষার্থী উপস্থিতিও ছিলো কম।
টানা ১৫ দিন থেকে খুলনায় তাপমাত্রা থাকছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত বাতাস পানির ব্যবস্থার নিশ্চিত করে।
গাজীপুরে স্কুলে এসে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে টিনশেড ক্লাস রুমের শিক্ষার্থীরা।অনেক স্কুলে ফ্যান নষ্ট থাকায় বাড়ে দুর্ভোগ।
তবে প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হবার কারণে সিলেটে গরমের তীব্রতা কম হওয়ায় স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো সন্তোষজনক। দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় তারা খুশি।