জুন জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৫ জন। জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে গড়ে প্রতিদিনই তিন জনের মৃত্যু হচ্ছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) গবেষণা বলছে, ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে এবার টাইপ টু ও টাইপ থ্রির প্রাদুর্ভাব বেশি। সেই সাথে অন্য রোগে আক্রান্তদের বেলায়ও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর এই দুটি ধরন।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মহাখালী কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল। ছয়শ’রও বেশি শয্যার এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে মাত্র ১০ জন। কুর্মিটোলা হাসপাতালে আছে সাতজন। কিন্তু দক্ষিণ সিটির মুগদা জেনারেল হাসপাতালে রোগী আছেন প্রায় ২শ’ ৫০ জন। অর্থাৎ দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
সম্প্রতি দুই সিটি কর্পোরেশনের রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে একটি গবেষণা করেছ আইইডিসিআর। যাতে দেখা গেছে চার ধরনের ডেঙ্গুর মধ্যে এবার টাইপ টু ও টাইপ থ্রি’র প্রাদুর্ভাব বেশি। টাইপ টু’র রোগী প্রায় ৬২ শতাংশ। আর টাইপ থ্রি’র ৩৮ শতাংশ। কিন্তু টাইপ ওয়ান ও টাইপ ফোরের কোন উপস্থিতি মেলেনি। শঙ্কার বিষয় হলো এই দুই ধরণের ডেঙ্গুতেও রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, টাইপ টু এর পরিমাণটা বেশি এবার।
আইইডিসিআর বলছে, এই ধরনের ডেঙ্গুর জীবাণুই অতি সংক্রমণ প্রবণ। নবজাতক থেকে প্রাপ্তবয়স্ক কেউই এর থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। অন্যরোগে আক্রান্তরা যদি এই ধরণের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন; বা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রেও মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে।
তাহমিনা শিরীন আরও বলেন, রোগী যদি আক্রান্তের প্রাথমিক পর্যায়েই চিকিৎসা না নেন তাহলে শেষদিকে তিনি হাসপাতালে এলেও ঝুঁকির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে ঢাকার সবাই: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
শিগগিরই সারাদেশের ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে একই গবেষণা চালাবে আইইডিসিআর। সে ক্ষেত্রে এর জীবাণুর গতিবিধি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা যাবে।
একাত্তর/আরএ