দীর্ঘদিনের সঙ্গী স্টেলা মরিসের সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধতে চলেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। বুধবার (২৩ মার্চ) যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগারে স্বল্প আয়োজনেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন অ্যাসাঞ্জ-স্টেলা জুটি।
অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে ২০১১ সালে স্টেলার পরিচয় হয়। ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকাকালীন সময়ে অ্যাাসেঞ্জের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছিলেন স্টেলা। ২০১৫ সালে একে অপরের প্রেমে পড়েন। এর দুই বছর পর অর্থাৎ ২০১৭ সালে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। এই জুটির দুইটি সন্তান রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গত বছরের শেষ দিকে কারাগারে বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে কারা গভর্নরের কাছে আবেদন করেছিলেন অ্যাসাঞ্জ।
এ আবেদনের প্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সাধারণ কয়েদিদের মতোই অ্যাসাঞ্জের বিয়ের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই কারাগারে নিজ খরচে বিয়ে করতে পারবেন তিনি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের বিবাহ আইন ১৯৮৩-এর আওতায় বন্দীরা কারাগারে বিয়ের জন্য আবেদনের সুযোগ পান। আবেদন মঞ্জুর হলে নিজ খরচে বিয়ে করার সুযোগ পান বন্দিরা।
অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে স্টেলার প্রতিবাদ
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক, প্রকাশক, কম্পিউটার প্রোগ্রামার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বহুল আলোচিত উইকিলিকস এর প্রধান নির্বাহী। মূলত গোপন নথি প্রকাশের জন্য উইকিলিকস বিখ্যাত। কয়েক লাখ মার্কিন গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বে হইচই ফেলে দেয় উইকিলিকস। এর জেরে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাজ্য পুলিশ। তখন থেকে বেলমার্শ কারাগারে বন্দী তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
এদিকে ২০১০ সালের আগস্টে এক সুইডিশ নারী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অ্যাসাঞ্জ বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এই মামলার ‘স্ট্যাচুট অব লিমিটেশন’ অর্থাৎ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনি কার্যক্রম পরিচালনার সময় শেষ হয়ে যায় ২০২০ সালের আগস্টে। ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত স্থগিত করে সুইডেন।
একাত্তর/আরবিএস