পকেমন থেকে জুজুৎসু কাইসেন অ্যানিমের সম্পর্কে জানেন না এমন জেন-জি খুব কমই আছে। জাপানিজ অ্যানিমে বা অ্যানিমেশন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। সময়ের সঙ্গে এই শিল্প আরও বেশি উন্নত হয়েছে এবং ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে ঠিক কেনো অ্যানিমেটররা এই অ্যানিমে শিল্পকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন?
গত বিশ বছর ধরে বাজার উত্থান-পতনের সঙ্গে ভুগছিলো অ্যানিমে শিল্প। কিন্তু এই পরিস্থিতির পরিবর্তিত হয় ২০২২ সালে। ইউজি নুনোকাওয়ার প্রতিষ্ঠিত অ্যাসোসিয়েশন অফ জাপানিজ অ্যানিমেশনের (এজেএ) বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, অ্যানিমে শিল্প একটি ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কে পৌঁছেছে।
এজেএ অনুসারে, জাপানিজ অ্যানিমেশন শিল্প ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে এবং ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ২০২০ সালে মহামারির কারণে সামান্য ক্ষতি হয়। কিন্তু জাপানে ২০২২ সালের, ওয়ান পিস রেড ফিল্ম, দ্য ফার্স্ট স্ল্যাম ডাঙ্ক, জুজুৎসু কাইসেন জিরো ও সুজুমে নো তোজিমারি সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যানিমে চলচ্চিত্র ছিলো।
তাহলে প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে। বাইরে থেকে দেখতে এতো সমৃদ্ধ শিল্প কি আসলে ভিতর থেকে মারা যাচ্ছে?
জাপানে অ্যানিমে শিল্পের শুরু
জাপানের অ্যানিমেশন শিল্প পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের থেকে ভিন্ন। জাপানিজ অ্যানিমের আলাদা আর্ট ফর্মের কারণে সহজেই এই শিল্প অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের হয়।
অ্যানিমেশন কাজগুলিকে সাধারণত জাপানি ভাষায় ‘অ্যানিম’ বলা হয়। কিন্তু শব্দটি অন্যান্য দেশে ব্যবহৃত হয় জাপানে অ্যানিমেশন বা এর সঙ্গে সম্পর্কিত নান্দনিকতাকে বিশেষভাবে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে।
ওসামু তেজুকার হাত ধরে প্রথম অ্যানিমে সিরিজ হয়; যা জাপানিজ অ্যানিমেশন শিল্পকে জনপ্রিয় করে তুলে। তার আগ্রাসী প্রচেষ্টার কারণে প্রথম অ্যানিমে টেলিভিশনে সম্প্রচার শুরু হয়। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ফুজি টিভিতে তেজুকার অ্যানিমেশন সিরিজ ‘অ্যাস্ট্রো বয়’ চলে এবং বড় সাফল্য বয়ে আনে।
শুরুর দিকের অ্যানিমে মূলত শিশুদের লক্ষ্য করে বানানো হয়। কিন্তু কয়েক দশক ধরে অ্যানিমের গল্পের মাধ্যম সমাজের নানা বিষয়বস্তু তুলে ধরায় সব বয়সের দর্শকদের কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১৯৮০ থেকে ১৯৯০-এর দশকের দিকে এই মাধ্যমটি অন্যান্য দেশের ভোক্তাদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এর ফলে ২০২১ সালে দেশীয় বাজার এবং অ্যানিমে শিল্পের বিদেশি বাজারের সম্মিলিত রাজস্ব দুই দশমিক ৭৪ ট্রিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনে পৌঁছে রেকর্ড করে।
এই শিল্পের বর্তমান অবস্থা
চাহিদার বৃদ্ধির কারণে, এই শিল্পটি বর্তমানে প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক নতুন অ্যানিমে প্রোগ্রাম সম্প্রচারিত করছে। নতুন সম্প্রচারিত প্রোগ্রামগুলি ধারাবাহিকভাবে সম্প্রচারিত প্রোগ্রামের সংখ্যার চেয়ে বেশি, যা শোগুলিকে একটি উচ্চ টার্নওভারের দিকে নিয়ে যায়।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেও অ্যানিমেশন কাজের উচ্চ চাহিদা লক্ষ্য করা যায় এবং অ্যানিমেটেড মুভিগুলো নিয়মিতভাবে জাপানসহ বিশ্বের বক্স অফিসের শীর্ষে থাকে। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে, ২০১৬ সালে মাকোটো শিনকাইয়ের হিট অ্যানিমে ফিল্ম ‘ইওর নেম’ এবং ২০২০ সালের ‘ডেমন স্লেয়ার’ ফিল্ম, যা আজ পর্যন্ত জাপানের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা।
অ্যানিমেশনের এই জনপ্রিয়তার কারণে অ্যানিমেশন স্টুডিয়ো ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। এই স্টুডিওতে প্রায়ই তথাকথিত ‘উৎপাদন কমিটি’ দেখা যায়; যারা মূলত অ্যানিমেশনের কাজগুলি করে। কিন্তু এই কমিটির কারণে প্রতিটি কোম্পানির ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমলেও লাভ অংশও হ্রাস পাচ্ছে।
উৎপাদন কমিটি লাভের খুব সামান্য পেয়ে থাকে। ফলস্বরূপ, অ্যানিমেটররা প্রায়শই খুব কম বেতন পায়, করোশি শিকার হয় এবং অনেকে তাদের কর্মজীবনের প্রথম বছরের মধ্যে এই শিল্প ছেড়ে দেয়।
করোশি কি?
২০২৪ সালের নতুন অ্যানিমে সিরিজ ‘ফ্লাপি প্যারাডিস’, যেখানে উঠে এসেছে এক মেয়ের গল্প। যিনি অন্য জগতে পুনর্জন্মের আগে করোশির শিকার হয়েছিলেন।
জাপানে ‘অতিরিক্ত কাজের জন্য মৃত্যু’; যা হঠাৎ করেই ঘটে। আর এটাকেই ব্যাখ্যা করা হয় করোশি শব্দ দিয়ে।
‘কঠোর পরিশ্রম’ করার জন্য বিশ্বজুড়েই জাপানিজদের খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু, এটি অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে তাদের ওপর। প্রতিদিন ওভারটাইম করার ফলে, এমন অনেকে পেশাজীবীরা আছে, যারা তাদের বাসায় পর্যন্ত যেতে পারে না। সারাক্ষণ অফিসে কাজের মধ্যে থাকায় ক্লান্তির কারণে তারা মারা যায়।
জাপানি পেশাজীবীদের মারা যাওয়ার খবর কয়েক দশক ধরেই গণমাধ্যমের আলোচিতর বিষয়। করোশি প্রথমে ১৯৮৭ সালে চিহ্নিত করা হয়, যখন জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অস্বাভাবিকভাবে পেশাজীবীদের মৃত্যু রেকর্ড করতে শুরু করেছিলো। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে, জাপানিজ চাকরিজীবীরা দিনে পনেরো ঘণ্টারও বেশি কাজ করে এবং আরো প্রায় চার ঘণ্টা ব্যয় করে যাতায়াতে।
ধীরে ধীরে এই সমস্যাটি জাপানিজদের মধ্যে এতটাই সাধারণ হয়ে গিয়েছিলো যে, এই মৃত্যুকে করোশি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
তবে একজন কর্মীর মৃত্যুকে করোশি বলে গণ্য করার ক্ষেত্রে, সেই ব্যক্তির মৃত্যুর আগের মাসে সপ্তাহে ১১০ ঘণ্টা করে কাজ অথবা পরপর দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় সপ্তাহে গড়ে ৮০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হবে।
করোশি জাপানে প্রধান একটি সামাজিক সমস্যা এবং স্বাভাবিকভাবেই অ্যানিমে শিল্পও করোশির বড় শিকারে পরিণত হয়েছে। অ্যানিমেটররা ওভারটাইম করলেও তাদেরকে সেই কাজের জন্য কোনো অর্থ দেওয়া হয় না।
২০১০ সালে ২৮ বছর বয়সী একজন অ্যানিমেটর তার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরপরই আত্মহত্যা করেছিলেন। তিনি কয়েক মাস ধরে বিনা বেতনে শত শত ঘণ্টা ওভারটাইম করেন। মৃত্যুর পর ওই অ্যানিমেটরের জার্নাল থেকে জানা যায় তিনি ১০ মাসে মাত্র তিন দিন ছুটি নিয়েছিলেন এবং প্রতিদিন ভোর চারটা পর্যন্ত কাজ করতেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি।
২০১৪ সালে এ-ওয়ান পিকচার স্টুডিয়োর নামে অভিযোগ এসেছিলো যে, তারা অ্যানিমেটরদের দিয়ে মাসে ৬০০ ঘণ্টা কাজ করিয়েছিলো। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত কাজের চাপে ২০২৩ সালে জুজুৎসু কাইসেনর বেশ কিছু অ্যানিমেটরা মাপ্পা স্টুডিয়ো ছেড়ে দেয়। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওভারটাইম করেছে, কিন্তু তার বিনিময়ে কোনো বেতন পায়নি।
অ্যানিমে শিল্পের বাস্তবতা
জাপানের অ্যানিমেটররা ভালোবাসা থেকে কাজ করে এবং তাদের এই আবেগেরই সুবিধা নেয় স্টুডিওগুলি। কিন্তু সব দোষ স্টুডিয়োর ওপরও চাপানো যায় না। অ্যানিমেটরদের এই ভয়ংকর পরিস্থিতির শেকড় লুকিয়ে আছে জাপানের সংস্কৃতির মধ্যেই।
তাদের সংস্কৃতি নিঃস্বার্থতা ও আত্মত্যাগ শেখায়। যদিও এটি একটি ভালো শিক্ষা, কিন্তু জাপানিজরা এটাকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে। শারীরিক ও মানুষিক সুস্থতাকে অবহেলা করে কঠোর পরিশ্রম করতে শেখায় এই সংস্কৃতি। জাপানিজরা ভাবে, তারা যদি কঠোর পরিশ্রম না করে, তাহলে অন্যদের তারা হতাশ করবে।
১৯৬৩ সালে ওসামু তেজুকার গ্রাউন্ডব্রেকিং অ্যানিমে সিরিজ ‘অ্যাস্ট্রো বয়’ এর জন্য ফুজি টিভির কাছে খুব কম টাকা চাওয়া হয়। এটি এই মানসিকতা তৈরি করেছে যে, অ্যানিমেটরদের অর্থ উপার্জন থেকে বিরত থেকে কাজের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু ছয় দশক পরে এসে কম বেতন ও খারাপ কাজের জন্য এখন এই অজুহাত আর ব্যবহার করা যায় না।
২০১৯ সালে জাপানি অ্যানিমে শিল্পে আনুমানিক ২৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তবে অ্যানিমের সাফল্যের ভেতর কঠোর অর্থনৈতিক এক বাস্তবতাও লুকিয়ে রেখেছে। অনেক অ্যানিমেটররা খুব খারাপ কাজের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, যা তাদেরকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
জাপানের প্রায় প্রতিটি অ্যানিমেশন স্টুডিও কয়েক বছর আগে বুক করা হয়। সমস্ত অ্যানিমেশনের প্রায় ৭০ শতাংশ হাতে আঁকা হয়। শুধু কিছু জাপানিজ অ্যানিমেশন স্টুডিও আছে, যারা ডিজিটালই ছবি আঁকে।
আর অবাক করার বিষয় হচ্ছে একটি অ্যানিমে পর্বে প্রায় তিন হাজারটি ফ্রেম রয়েছে৷ আমাদের প্রিয় অ্যানিমের একক দৃশ্য তৈরি করে এমন একজন অ্যানিমেটর, যাকে তার কাজের জন্য খুব কম বেতন দেওয়া হয়।
অ্যাটাক অন টাইটানের মতো বিখ্যাত অ্যানিমের একটি পর্বে প্রায় ১০ হাজার ফ্রেম রয়েছে। একটি পর্বে, প্রায় পাঁচ থেকে ছয়শা কাট (ফ্রেমের সেট) আছে। একজন অ্যানিমেটর দিনে গড়ে পাঁচটি ফ্রেম তৈরি করেন।
কিন্তু যদি একটি দৃশ্যে প্রচুর চলাফেরা থাকে তাহলে অ্যানিমেটরদের সেটি আঁকতে প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন লাগে। একটি ফ্রেমের জন্য তারা পান এক ডলার। তার মানে, একজন অ্যানিমেটর দিনে পাঁচ ডলার করে পায়। এই বেতনে জাপানের মত উন্নত ও ব্যয়বহুল দেশে জীবিকাধারণ করা অসম্ভব। আর এটি শুধু অযৌক্তিকই নয়, বরং বেআইনিও। কারণ জাপানে প্রতি ঘণ্টায় ন্যূনতম বেতন প্রায় সাত থেকে আট ডলার।
এখন স্টুডিয়োরা কীভাবে এই বেআইনি কাজ করতে পারছে?
জাপানে বেশিরভাগ অ্যানিমেটরই ফ্রিল্যান্সার। তারা ‘ইন-বিটুইন অ্যানিমেটর’ নামেও পরিচিত। স্টুডিওগুলো ফ্রিল্যান্সারদের পছন্দ করে। কারণ, তাদের দিয়ে কাজ করালে শ্রম নীতিমালা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
ফ্রিল্যান্সাররা স্বাধীনভাবে কাজ করায় এবং কোম্পানির সঙ্গে চাকরির চুক্তিপত্র না থাকায়, তারা কোম্পানি আইনের আওতায় পড়ে না। আর সুযোগের শতভাগ সুবিধা আদায় করে নেয় স্টুডিয়ো মালিকরা।
আরেকটি কারণ হচ্ছে, এই শিল্পে অ্যানিমে তৈরির বাজেট কম। স্টুডিয়োগুলোও ইচ্ছা করে তাদের বাজেট কম রাখে। কারণ, বেশিরভাগ কোম্পানির এই ভয় যে, যদি অ্যানিমেটা সফল না হয়, তাহলে তারা প্রচুর ঋণের মধ্যে পড়বে।
কিন্তু কিছু ব্যতিক্রমী স্টুডিও আছে যারা অপেক্ষাকৃত বেশি মজুরি দেয়। কিয়োটো অ্যানিমেশন স্টুডিয়ো ফ্রিল্যান্সারদেরকে এড়িয়ে বেতনভোগী কর্মচারীদের নিয়োগ করে। আর এই কর্মচারীরাই কিয়োটো অ্যানিমেশন স্টুডিয়োর সব অ্যানিমে তৈরি করে।
অ্যানিমেটরদের কি শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা উচিত?
প্রথম সমস্যা হলো, অনেক অ্যানিমেটর বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সার, তারা নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির হয়ে কাজ করেন না।
একটি সংস্থার হিসাবে, অনেক অ্যানিমেটররা শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করতে চায় না। কারণ, এই শিল্পে মানুষের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে কাজ পাওয়া যায়।
তবে অ্যানিমেটরদের শ্রমিক ইউনিয়ন যে আগে গঠন করা হয়নি বিষয়টি এমনও না। অতীতে গঠিত শ্রমিক ইউনিয়ন সহকর্মীদের চাপেই ভেঙে ফেলতে হয়েছিলো। সব অ্যানিমেটররা এক সাথে না হলে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করাও সম্ভব নয়।
শেষ কথা
এখন অনেক সংস্থা অ্যানিমেটরদের আর্থিকভাবে সহায়তা করে। কারণ, তারা যেন ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে। এরকম একটি প্রতিষ্ঠান হলো নিউ এনিমে মেকিং সিস্টেম প্রজেক্ট। তারা অ্যানিমেটরদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে এবং আত্মহত্যা কমানোরও প্রচেষ্টা করে।
তবে জাপানে অ্যানিমেটরের অবস্থা খুবই হতাশাজনক। পৃথিবীজুড়ে অনেক মানুষ আছে যারা অ্যানিমে দেখতে ও মাঙ্গা পড়তে ভালোবাসে। কিন্তু অ্যানিমে তৈরি করতে যে কতটা কষ্ট হয় তা ওই অ্যানিমেটর ছাড়া আর কেউ জানে না। এতো পরিশ্রম করেও অ্যানিমেটররা প্রাপ্য স্বীকৃতি ও সম্মান পায় না।