বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে একজন বৈধ প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সকে (সাবেক টুইটার) নিষিদ্ধ করলো ব্রাজিল।
বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার ইলন মাস্কের এক্সকে অবিলম্বে ও সম্পূর্ণভাবে স্থগিতের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে দ্য মোয়ারেস। তিনি বলেন, যতদিন না আদালতের সমস্ত আদেশ মেনে চলে ও বিদ্যমান জরিমানা প্রদান করে, ততদিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
ব্রাজিলের আইনে বলা হয়েছে, সব ইন্টারনেট কোম্পানিকে তাদের দেশে একজন প্রতিনিধি রাখতে হবে। কিন্তু চলতি মাসে এক্স (সাবেক টুইটার) ব্রাজিল থেকে তাদের আইনি প্রতিনিধিকে সরিয়ে নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মোয়ারেস তাদের ওই প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছেন।
চলতি বছরের এপ্রিলে অ্যালেক্সআন্দ্রে দ্য মোয়ারেস ভুয়া তথ্য ছড়ানোর দায়ে একাধিক এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন থেকেই ব্রাজিলে এক্স নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এক্সের মালিক ধনকুবের ইলন মাস্ক বলেন, বিচারপতি একজন ‘স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারীর’ মতো ব্যবহার করছেন।
এক্সে পোস্ট করে মাস্ক লেখেন, মোরায়েস হলেন ‘বিচারপতির ছদ্মবেশে এক জঘন্য অপরাধী। বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তি। ব্রাজিলের একজন অনির্বাচিত ছদ্মবেশী বিচারক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটিকে ধ্বংস করছে।
এর আগে বিচারপতি মোরেস নতুন বৈধ প্রতিনিধি নিয়োগে এক্স কে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে এ সময় শুরু হয়। কিন্তু সময়সীমা পার হলে গেলেও এ নির্দেশনা মানেননি ইলন মাস্ক।
বিচারপতি মোরেস অ্যাপল এবং গুগলের মতো সংস্থাগুলোকে তাদের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর থেকে এক্সকে সরাতে এবং আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে এর ব্যবহার বন্ধ করতে পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
এছাড়া ভিপিএনের মাধ্যমে যদি কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী এক্স ব্যবহারের চেষ্টা করেন তাহলে প্রায় ৯ হাজার মার্কিন ডলারের জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
এর আগে এক্সের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন মাস্ক। গত মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের সঙ্গেও বাগযুদ্ধে জড়ান তিনি।