শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন হরিণী অমরাসুরিয়া। ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) এ নেতা দেশটির ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে আজ মঙ্গলবার হরিণী অমরাসুরিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন। ফলে দেশটির ১৫তম প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধনের স্থলাভিষিক্ত হলেন এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।
৫৪ বছর বয়সী ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) নেতা দিশানায়েকে চার সদস্যের একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। এর মধ্যে অমরাসুরিয়াকে বিচার, শিক্ষা, শ্রম, শিল্প, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীর দপ্তর দেয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের ২২৫ আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি আসন রয়েছে এনপিপির হাতে।
এনপিপি সদস্য নমল করুণারত্নে সাংবাদিকদের বলেছেন, শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে আমাদের সবচেয়ে ছোট মন্ত্রিসভা হবে এবার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়া হতে পারে।
কলম্বোভিত্তিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অমরাসুরিয়া (অমরসূর্য) শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
লিঙ্গ সমতা, সংখ্যালঘু অধিকারের, বেকারত্ব নিরসন, শিশু সুরক্ষা ও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের বিষয়ে সক্রিয়তার জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত অমরাসুরিয়া চার বছর আগে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সফল রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পাশাপাশি তিনি একজন অধিকার কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। তিনি সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে শ্রীলঙ্কার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে গতকাল সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার ইতিহাস ‘নতুন করে রচনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে তার এই জয়কে দুর্নীতি ও স্বজনতোষণের সংস্কৃতির প্রত্যাখ্যান হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে ২০২২ সালে দেশটিতে গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ক্ষমতাচ্যুত হলে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পান বিক্রমাসিংহে। এর দুই বছর পর গেলো শনিবার দেশটিতে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।