আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ৬২ যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু নিয়ে উড্ডয়নের কিছু পরে উড়োজাহাজটিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায় এবং এটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। আকতাউ শহরটি আজারবাইজান ও রাশিয়া থেকে কাস্পিয়ান সাগরের বিপরীত তীরে অবস্থিত।
প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন ছিলেন আজারবাইজানীয় নাগরিক, ১৬ জন রাশিয়ার, ছয়জন কাজাখ নাগরিক এবং তিনজন কিরগিজ নাগরিক।
কাজাখ কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ৬২ যাত্রী ও পাঁচ ক্রুর মধ্যে ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলো এবং দুর্ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছিলো। এছাড়াও ১০৫ জনেরও বেশি জরুরিকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি ফ্লাইট রাজধানী আস্তানা থেকে রওনা হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলছে, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, উড়োজাহাজটি মাঝ আকাশে পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং এর পরপরই পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এসময়ই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।
তবে ঠিক কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তের জন্য একটি সরকারি কমিশন গঠন করেছে কাজাখ কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনার পর আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ তার রাশিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ সেন্ট পিটার্সবার্গ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এরইমধ্যে তাকে ফোন করেছেন এবং বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন।
পেসকভ বলেন, এই বিমান দুর্ঘটনায় যারা তাদের স্বজন ও বন্ধুদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমরা গভীর সহানুভূতি জানাই এবং যারা বেঁচে আছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
ক্রেমলিন সমর্থিত চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে বলেন, যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তিনিও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।