ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বসে নাগপুরে সংখ্যালুঘুদের বাড়িঘরে আগুন দেখছেন আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড । তাঁর উপস্থিতিতেই ভারতের ভেতরে মুসলিম নিধন নিয়ে এমন নির্যাতনে নির্বাক বিশ্ব সম্প্রদায়। ভারত তার প্রতিবেশী দেশসহ আর কোন দেশের সংখ্যালুঘু নির্যাতন নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
ভারতের ইতিহাসে নরেন্দ্র মোদির শাসনের ভিত্তিই উগ্র হিন্দুত্ববাদ আর সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতন বেড়েছে সবচেয়ে বেশি । এমন সময় ভারত সফরে আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড।
নরেন্দ্র মোদির উত্থান গুজরাটে মুসলিম নিধনের মধ্য দিয়ে। মুসলিমদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলা গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদীই টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভারতে মুসলিমদের ইতিহাস কয়েকশ বছরের। অথচ সেই মুসলিমদের হত্যা, নির্যাতন, ধর্মীয় উপাসনালয়, সম্পদ লুটের জন্য দায়ী বিজেপি ও উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এই সপ্তাহেই ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরাটে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে নামাজ পড়ার ঘটনায় এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নাগপুরে মুঘল আমলের মসজিদ ভাঙ্গা ও কোরআন পোড়ানোর গুজবে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিমরা বলেছে পুলিশের সহায়তায় হামলা, লুটপাট বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে উগ্র হিনুত্ববাদীরা।
হোলি উৎসবের সময় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মুসিলমদের প্রার্থনায় বাধার সৃষ্টির অভিযোগ এসেছে। পবিত্র রমজানে এই উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আচরণে চরম অসহায় ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমরা।
ভারতে যখন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নেই,ঘটছে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা তখন দেশটি সফরে রয়েছেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড।
অথচ ভারতীয় মিডিয়া তুলসি গ্যাবার্ডের কাছে জানতে চেয়েছে প্রতিবেশি দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে। কিন্তু নিজের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকার বিষয়ে তুলসির কাছে প্রশ্ন করেনি ভারতীয় মিডিয়া। ভারতের এই আচরণ নিয়ে প্রতিবেশি দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
শুধুই কি মুসলিম, মনিপুর রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী দাঙ্গায় রাজ্য শাসন ভেঙ্গে পড়েছে। সেখানে রাজ্য শাসকরা পালালে সেনা শাসন জারি হয়। থেমে নেই হত্যা নির্যাতন লুটপাটসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন।
ভারত নিজের দেশের মানবাধিকার লংঘন নিয়ে কাঠগড়ায়। অথচ প্রতিবেশি দেশে শান্তিপূর্ণ সাম্প্রদায়িক পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে নানা রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ভারতে মানবাধিকার লংঘন নিয়ে প্রতিকার চেয়েছে শান্তিকামী মানুষ।