চলতি সপ্তাহে গাজায় পুনরায় হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের একের পর এক বিমান হামলায় গাজা সরকারের প্রধানসহ একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তবে, বিশ্লেষকদের দাবি, মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি সহ্য করেও পাল্টা আক্রমণ ও গাজা পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে হামাসের মধ্যে। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
ইসরাইলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর প্রতিবারই নিজেদের যুদ্ধ পরিচালনার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে হামাস। গেল অক্টোবরে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন কাউকে বাছাই করার পরিবর্তে পরিষদের মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোষ্ঠীটি।
পাশাপাশি, ইসরাইলের হামলার জন্য রকেট ব্যবহারের বদলে আবারও গেরিলা হামলার দিকে ঝুঁকছে তারা। সামনের দিনগুলোতে আরও বৃহৎ সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তেল আবিবের বিভিন্ন বক্তব্যে। সেক্ষেত্রে ইসরাইলি নজরদারি এড়াতে যন্ত্রের বদলে মানুষের মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান করছে হামাস।
প্রায় ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গেলো ১৯ জানুয়ারি গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। তবে, গেলো মঙ্গলবার ইসরাইলের হামলায় হামাসের ডি ফ্যাক্টো গভর্নমেন্ট প্রধান এসসাম আদ্দালীইস এবং নিরাপত্তা প্রধান মাহমুদ আবু ওয়াতফা নিহত হয়েছেন।
এই সহিংসতার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেলে আবারও যুদ্ধ শুরু হবে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে দাবি বিশ্লেষকদের। তবে, সম্ভাব্য সেই সংঘর্ষের সময়সীমা এবং যুদ্ধপরবর্তী গাজার অবস্থা নির্ভর করবে ইসরাইলি হামলা সহ্য করে হামাসের টিকে থাকার ক্ষমতার ওপর।
এদিকে, শুরু থেকেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলে আসছেন, হামাসের সামরিক শক্তি নিশ্চিহ্ন এবং শাসনক্ষমতা ধ্বংস করা তাদের একমাত্র লক্ষ্য। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলের ক্রমাগত হামলার কারণে হামলা অনেকটাই দুর্বল হলেও, তারা এখনও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।