শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ব্যতিক্রম চীন। দেশটির ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে জানিয়েছেন, সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক বহাল থাকবে। তবে সমহারে যে শুল্ক বসানোর ঘোষণা হয়েছিলো, তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হলো। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে শুল্ক আরো বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, ট্রাম্প তার এই সমহারে শুল্ক বসানোর ঘোষণা করার পরই বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারে প্রভাব পড়ে। শেয়ারের দাম নিম্নমুখি হয়। মন্দার আশঙ্কা দেখা দেয়। আমেরিকাতেও ক্ষুব্ধ মানুষ প্রতিবাদ জানান। প্রায় সব দেশই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
হোয়াইট হাউসের দাবি, ৭৫টি দেশ আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছে। ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, এই ঘোষণার পর আরো দেশ আলোচনায় বসতে চাইবে।
এর আগে হোয়াইট হাউস ও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, শুল্ক স্থগিত রাখা হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে তিনি পুরোপুরি সরে আসেননি বরং ৯০ দিন স্থগিত রেখেছেন।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরই প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি কৌশলগতভাবে পিছিয়ে যাওয়া, চাপের কাছে নতিস্বীকার করা, নাকি এটা ট্রাম্পের আলোচনা করে অন্য দেশকে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কম করার কৌশল? কারণ যাই হোক না কেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়েছে।