এখন থেকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ কাজে লাগাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, থেমে থাকা সেই বহুল প্রতীক্ষিত ‘ওয়াশিংটন-কিয়েভ অর্থনৈতিক চুক্তি’ সই হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যখন আমেরিকা গিয়েছিলেন, তখনই এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নানান নাটকীয়তায় কালক্ষেপণ হয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় পেছাতে থাকে।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেন নতুন খনিজ পদার্থের ব্যবসার জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা করবে। তার জন্য ৫০ শতাংশ অগ্রিমও নেবে। যে টাকা একটি ফান্ডে জমা রাখা হবে। আমেরিকা ইউক্রেনকে যে সাহায্যই দিক না কেন, তা ওই ফান্ডে বিনিয়োগ হিসেবে ধরে নেয়া হবে। পরে ওই অর্থ ইউক্রেনের খনিজ নিয়ে কাজ এবং ব্যবসায় ব্যবহার করা হবে।
ইউক্রেন এবং আমেরিকা দুই দেশেরই সমান অধিকার থাকবে ওই অর্থে। তবে জেলেনস্কি আমেরিকার কাছে যে শর্ত আরোপ করেছিলেন, তা ওই চুক্তিতে নেই বলে ডিডাব্লিউয়ের আমেরিকার প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করবে, এমন কথা চুক্তিতে সরাসরি বলা হয়নি। তবে আমেরিকা এবং ইউক্রেন কৌশলগত আদানপ্রদানে আরো বেশি সক্রিয় হবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সাহায্য করবে, এই ধরনের কিছু কথা চুক্তিতে বলা হয়েছে।