অবশেষে ক্যান্সারের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
পেরুর রাজধানী লিমায় নিজের বাসভবনে বুধবার ফুজিমোরি মারা গেছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। খবর এএফপি’র।
নিজ দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ব্যাপক সমালোচিত ও দণ্ডিত হয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ফুজিমোরি। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পেরুর ক্ষমতায় ছিলেন ফুজিমোরি। পরবর্তী সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক এ প্রেসিডেন্টের। টানা ১৬ বছর কারাগারে কাটানোর পর গত ডিসেম্বরে মানবিক বিবেচনায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আলবার্তো ফুজিমোরির মৃত্যুর খবর জানিয়ে তার সন্তান কেইকো, হিরো, সাচিয়ে এবং কেনজি ফুজিমোরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানান, আলবার্তো ফুজিমোরি দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
ফুজিমোরির পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, গত আগস্টে জিহ্বায় ক্যানসারের চিকিৎসা শেষ করার পর থেকেই ফুজিমোরির শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ফুজিমোরিকে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় লিমায় একটি ক্লিনিক থেকে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। সিটিস্ক্যান করাতে তিনি ওই ক্লিনিকে গিয়েছিলেন।
মাসখানেক আগেও ফুজিমোরির মেয়ে কেইকো ফুজিমোরি জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সালে পেরুর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান তার বাবা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ফুজিমোরির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পেরুর প্রধানমন্ত্রী গুস্তাভো আদ্রিয়ানজেন বলেন, ‘আমরা তার সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের এটা জানাতে চাই যে, তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’