ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর নতুন করে আগুনের ফুলকি ছুটেছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই হত্যাকাণ্ডই অতীতের তুলনায় মধ্যপ্রাচ্যকে সর্বাত্মক যুদ্ধের সবচেয়ে কাছে টেনে নিয়ে এনেছে। এরই মধ্যে কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে হামাস।
সাধারণত এক্সিস অব রেসিস্ট্যান্স বা প্রতিরোধের অক্ষ বলে পরিচিত শক্তি হামাস, হিজবুল্লাহ এবং হুথিরা যা করে তার লক্ষ্য থাকেই একদিকেই। গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত আগ্রাসনের পর একযোগে ছায়া যুদ্ধ চালাচ্ছিলো সব পক্ষ। ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর তা আরও জোরদার হবে। ঝাঁপিয়ে পড়বে ইসরাইলের বিরুদ্ধে।
এরই মধ্যে মুখ খুলেছে ইসমাইল হানিয়ার সংগঠন হামাস। বিবৃতিতে হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য মুসা আবু মারজুক বলেছেন, আমাদের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করাটা একটি কাপুরুষোচিত কাজ এবং এর জবাব দেওয়া হবে। এটি একটি জিহাদ। এতে বিজয় হবে, নয়তো শহীদ হতে হবে।
হুঙ্কার ছেড়েছে ইরানও। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের খানানি বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার রক্ত কখনোই বৃথা যাবে না। তেহরানে হানিয়ার শাহাদাত বরণের ঘটনা ইরান, ফিলিস্তিন ও প্রতিরোধের মধ্যে বন্ধনকে শক্তিশালী করবে।
হানিয়া হত্যার তীব্র সমালোচনা করেছে তুরস্কও। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হত্যার মধ্য দিয়ে আবার এটা স্পষ্ট হয়েছে যে ইসরাইলের নেতানিয়াহু সরকারের শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো ইচ্ছা নেই। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হানিয়া হত্যাকাণ্ড বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যকে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
এটি লেবাননের ঘটনাপ্রবাহেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠনের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার হত্যাকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য নতুন করে সংঘাতের মুখে পড়ার আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা।