পোশাকে মানুষের রুচি ও ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়, সেই সাথে আরামদায়কেরও একটা বিষয় থাকে, তাই অনেকে এ ব্যাপারে খুব সচেতন। বাঙালির বেলায় দেশীয় কটন পছন্দের শীর্ষে। আর তা যদি হয় নান্দনিক ও আবহাওয়া উপযোগী তবে তো কথাই নেই। ঈদ উপলক্ষ্যে দেশীয় পোশাক ব্র্যান্ডগুলোতে থাকছে আরো বাড়তি কিছু। পোশাক নিয়ে আজকের আলাপচারিতায় একাত্তরের সাথে থাকছেন দেশীয় জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘দেশাল’এর কর্ণধার কনক আদিত্য।
একাত্তর: ঈদ এবং পহেলা বৈশাখ ঘিরে দেশালে কী থাকছে?
ঈদ যেহেতু গরমের মধ্যে পড়েছে তাই আরামদায়ক কটনের পোশাকই থাকছে নানা রঙ ও ডিজাইনে । সাথে এন্টি সিল্ক, এন্টি কটনে ঈদ স্পেশাল পোশাকও থাকছে।
একাত্তর: ‘দেশাল’ নামটা কী ভেবে রাখা হয়েছিল?
নিজ দেশ বা স্থানীয় পণ্য দিয়ে তৈরি পোশাক যা দেশীয় বলে গণ্য তা থেকেই মূলত ‘দেশাল’ নামকরণ হয়েছে। কটনের দেশীয় পোশাকই এই ব্রান্ডের মূল বিষয়বস্তু।
একাত্তর: আপনাদের পণ্যে বাঙালিয়ানা কি শতভাগ থাকছে, নাকি ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পোশাকে ফিউশান চলে আসছে?
শাড়ি ধুতির বাইরেও অনেক বিদেশি পোশাক এই বাংলায় ধীরে ধীরে ঢুকে পড়েছে যা আমাদের বাঙালির পোশাক বলেই এখন জানি। যেমন-লুঙ্গি, পাজামা-কামিজ ইত্যাদি। আমরা দেশীয় সুতি কাপড় বা দেশীয় পণ্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তবে বাঙালির পোশাক মানেই আমাদের ‘দেশাল’কে মনে করতে পারেন।
একাত্তর: কোন শ্রেণির মানুষ বা কারা আপনাদের গ্রাহক বলে মনে করেন?
আমরা প্রায় আঠার বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের পোশাক ভাবনা থেকে শুরু করেছিলাম। এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে সব বয়সী মানুষের জন্য। তাছাড়া কটন যারা পছন্দ করেন এবং বাঙালিয়ানা যারা ধারণ করেন তারাই আমাদের গ্রাহক। যারা দেশের বাইরে থাকেন এবং দেশীয় ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চান তারাও দেশালকে পছন্দ করেন।
একাত্তর: সুঁই সুতার কিছু নিখুঁত কাজ দেশালের পোশাকে পাওয়া যায়, এর বিশেষত্ব কী?
আমাদের নিজস্ব কারখানায় নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু কর্মী আছেন যারা যত্নের সাথে এই কাজগুলো করে থাকেন।
একাত্তর: ‘দেশাল’ নিয়ে আপনাদের আগামীর ভাবনা কী?
দেশাল এখন দেশাল লিমিটেডে পরিণত হয়েছে, যা আগে ছিল না। ঢাকাসহ সারাদেশে এখন আমাদের মোট ১২টি আউটলেট আছে, সামনে এর সংখ্যা আরো বাড়বে। ক্রেতা বা গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশীয় পণ্য যারা ভালবাসেন তাদের দেশালে স্বাগতম।