এবারের পূজা ঘিরে বাহারি ডিজাইন ও রং-বেরংয়ের পোশাকের পসরা বসেছে দেশি ফ্যাশন হাউজগুলোতে। ক্রেতাদের সামর্থ্যের মধ্যেই রাখা হচ্ছে পোশাকের দাম। মাসখানেক আগে থেকেই পূজার পোশাক ডিজাইনের কার্যক্রম শেষ করেছেন ডিজাইনাররা।
পূজা উপলক্ষ্যে দিনের বেলার পোশাকে গরমের কথা মাথায় রেখে প্রাধান্য পেয়েছে সূতি ও হাফসিল্ক কাপড়। সেই সাথে প্রাধান্য পেয়েছে সাদা, লাল ও উজ্জ্বল রং। রাতের পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে ডার্ক কালার, এই পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সিল্ক কাপড়।
বিশ্বরঙের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা বলেন, আমরা প্রথম প্রাধান্য দিই সাদা লাল। তারপর সাদার সাথে হয়তো লাল, ম্যাজেন্টা, কমলা এগুলো আসে। অনেকেই হয়তো সাদাটা এভোয়েড করতে চান, সেক্ষেত্রে বেইস কালার তারপর হতে পারে অফ হোয়াইট। মানে ব্রাইট কালার যেগুলো আছে হলুদ, বাসন্তী, ফোঁক কালারগুলো আসলে বাংলাদেশের পূজার কালার।
পোশাকের নকশায় থাকছে দুর্গার প্রতিমা, রবীন্দ্রনাথের গান ও দেশী বিদেশি শিল্পীদের পূজা উপলক্ষ্যে আঁকা বাছাইকৃত চিত্রকর্মের ছাপচিত্র।
তিনি আরও বলেন, দেবদেবীর মূর্তির প্রতিকৃতি থাকে বা দেবী দুর্গার সাথে সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক এনারা থাকেন। বা তাদের অস্ত্রগুলো থাকে বা তাদের যে বাহনগুলো থাকে, প্যাঁচা থাকে, সিংহ থাকে, ইঁদুর থাকে, শাপলা থেকে পদ্ম থাকে এই সবগুলোই আসলে পোশাকের মধ্যে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
দুর্গা উৎসবকে ঘিরে মাসব্যাপী বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজের পোশাকের ফটোশ্যুটে ব্যস্ত সময় পার করেছেন মডেলরা।
ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সামর্থ্যের মাঝেই রাখা হচ্ছে পূজার পোশাকের দাম। দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোতে ছেলেদের পাঞ্জাবির দাম রাখা হচ্ছে এক হাজার থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকা, মেয়েদের শাড়ি এক হাজার ২০০ থেকে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা ও থ্রী-পিছের দাম রাখা হচ্ছে দুই হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে দোকানে পোশাক যতই থাকুক না কেন বিক্রি সন্তোষজনক নয় বলছেন দোকানিরা।