গতানুগতিক পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা সহজ নয়। তবে অনলাইনে ব্যবসায় নারীরাই যেন পেছনে ফেলছে সবাইকে। এমন এক সফল উদ্যোক্তা ফোয়ারা ফেরদৌস।
শাড়ির প্রতি বাঙালির নারীর টান হাজার বছর কিংবা তারও বেশি। তবে যুগে যুগে শাড়ির রঙ ও ডিজাইনে এসেছে বৈচিত্র্য।
এদিকে শাড়ির ক্যানভাসে বাংলার সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রাকে তুলে ধরে সফল উদ্যোক্তা বনে গেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফোয়ারা ফেরদৌস।
অনলাইন কেনাকাটা যারা করেন তাদের কাছে পরিচিত নাম ‘পটের বিবি’। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে পটের বিবির আয়োজন ‘বিবির পাবন’ একাত্তরকে শুরুর গল্পটা জানালেন ফোয়ারা।
পটের বিবির নকশার ভক্ত ও ক্রেতারা সব সময়ই এ আয়োজনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এবার পাবনে পটের বিবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দারুণ আরও কয়েকটি উদ্যোগ।
প্রতিবারই পাবন উপলক্ষে নতুন কালেকশন আনে পটের বিবি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার এসেছে নতুন নতুন নকশার শাড়ি, স্কার্ট, কুর্তি, ব্লাউজ, ব্লাউজ পিস এবং ব্যাগ।
ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি সবই ছিলো এবারের আয়োজনে। ছিলো পটের বিবির নিজস্ব নকশায় বোনা তাঁতের শাড়িও।
এক সময় মাতৃত্বকালীন ছুটি না পেয়ে চাকরি ছাড়া ফোয়ারা এখন সফল উদ্যোক্তা। শুরু থেকেই তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন নিজস্ব ডিজাইন ও সৃষ্টিশীলতাকে।
বর্তমান সময়ে অনেকেই নিজস্ব উদ্যোগে ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন। তার মতে, এখন তরুণদের নিজ উদ্যোগে সফল হতে শুরুর আগেই দরকার সঠিক পরিকল্পনা।
এক সময় ভালোলাগা থেকে শুরু করেছিলেন বিভিন্ন পণ্যে আঁকিবুঁকির কাজ। তারপর তা নিয়ে আসেন বাঙ্গালি শাড়ির ক্যানভাসে। ভবিষ্যতে এই বাঙ্গালিয়ানা নিতে চান তিনি দেশের বাইরেও।
একাত্তর/এসজে